ওয়েব ডেস্ক: ডিজিটাল যুগে আজকাল চুরি, ডাকাতি- সবই হচ্ছে অনলাইনে। কিন্তু তাই বলে ব্যাঙ্ক ডাকাতিও (Bank Robbery) অনলাইনে! শুনতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি এমন একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুলুস্থুল পড়ল কর্নাটকের (Karnataka) বিজয়নগরে। এটিকে একটি নজিরবিহীন সাইবার অপরাধের (Cyber Crime) ঘটনা বললেও খুব একটা ভুল হবেনা। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যের বল্লরি জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের (Ballari District Central Cooperative Bank) গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে সাইবার অপরাধীরা ২ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জালিয়াতির ঘটনাটি ঘটে গত ১০ জানুয়ারি। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে তিন দিন পর, যখন ব্যাঙ্ক গ্রাহকরা অভিযোগ জানান যে, তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে না। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে যে, অপরাধীরা ব্যাঙ্কের আরটিজিএস (RTGS) এবং এনইএফটি (NEFT) পরিষেবাকে নিশানা করে এই জালিয়াতি ঘটিয়েছে। কিন্তু কীভাবে? সেটাই এবার বিস্তারে জেনে নিন।
আরও পড়ুন: মাঝরাতে কেঁপে উঠল মায়ানমার, অসম-মিজোরাম সহ বাংলাদেশ
সূত্রের খবর, অপরাধীরা উক্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট নম্বরের জায়গায় ভিন্ন অ্যাকাউন্ট নম্বর বসিয়ে দেয়। যদিও গ্রাহকদের নাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল, কিন্তু তাদের নথিপত্র এবং ব্যাঙ্কিং ডেটা সম্পূর্ণভাবে বদলে দেওয়া হয়। ফলে বাইরে থেকে বিষয়টি বুঝতে না পারলেও গ্রাহকদের টাকা চলে যায় উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ২৫টি আলাদা অ্যাকাউন্টে। বিডিসিসি ব্যাঙ্কের অভ্যন্তরীণ তদন্তে জানা গিয়েছে, যারা ১০ জানুয়ারি পাঁচ লক্ষ বা তার বেশি অঙ্কের টাকা পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের সকলের টাকাই অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। এভাবে মোট ২ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ দ্রুত স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বল্লরি সাইবার ইকোনমিক নারকোটিক্স বিভাগকে। ইতিমধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তি আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধীরা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা ব্যাঙ্কের লেনদেন ব্যবস্থার দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে আরটিজিএস এবং এনইএফটি ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করে।
দেখুন আরও খবর: