ওয়েব ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার(South Africa) পার্শ্ববর্তী দেশ বোৎস্যওয়ানার(Botswana) রাজধানী গ্যাবরানা(Gaborone) শহরের দূর্গাপূজো ২৫ বছর পার করে দিয়েছে। ১৯৯৮ সালে ‘টেগোর সোসাইটি’র(Tagore Society) সদস্যরা মিলে এই পুজো শুরু করেছিলেন। অন্যতম উদ্যোক্তা অরুণ পোদ্দারের বাড়িতেই এই পুজো প্রথম হয়েছিল। গ্যাবরানার নীল আকাশে শরতের স্নিগ্ধ হাওয়া প্রবাসী বাঙ্গালীদের নতুন উচ্ছ্বাসে ভরিয়ে দিল। কাঁসরের ধ্বনী আর ঢাকের শব্দ যেন দূর দেশ থেকে নিয়ে এসেছে দুর্গাপুজোর আবহ। এই পুজো যখন প্রথম শুরু হয়েছিল তখন ছিল অত্যন্ত সাদামাটা কিন্তু সেদিনও উৎসবের উচ্ছ্বাসে ভরে উঠেছিল সেখানকার প্রতিটি বাঙালির হৃদয়। আজ গ্যাবরনের সেই পুজো যেন এক বৃহৎ পরিবারের মিলনক্ষেত্রে রূপান্তরিত হয়েছে।কথায় আছে যেখানে তিনজন বাঙালি জড়ো হয় সেখানে একটি দুর্গাপূজা শুরু হতে বেশি দেরি লাগে না। প্রসঙ্গত,অর্থনৈতিক দিক থেকে গ্যাবরানা এই মুহূর্তে যথেষ্ট উন্নত। বাঙালির সঙ্গে আফ্রিকার যোগাযোগ শতাব্দীপ্রাচীন।
ষষ্ঠীর বোধনে যখন মা দুর্গার আগমনের সুর বাজে, তখনই শুরু হয় আনন্দের ঢেউ। প্রতিদিন পূজা, আরতি, প্রসাদ বিতরণ আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে ওঠে সবাই। প্রবাস জীবনের ব্যস্ততার মাঝেও মা দুর্গার কাছে একত্র হওয়া যেন দেয় নতুন শক্তি আর ঐক্যের বার্তা। শিশুদের হাসি, তরুণ প্রজন্মের নাচ-গান, আর বয়োজ্যেষ্ঠদের গল্প—সব মিলে এক অনন্য রঙিন উৎসবের ছবি আঁকে।
দশমীর দিনে যখন চোখে জল নিয়ে বিদায় জানানো হয় দেবীকে, তখনও অন্তরে বাজে এক অদ্ভুত আশ্বাস—এই মিলন, এই আনন্দ থেমে থাকবে না। বছর ঘুরে আবার আসবে শরৎ, আবার বাজবে কাঁসরের সুর। গাবোরোনের আকাশে প্রতিবারই প্রতিধ্বনিত হবে সেই অমোঘ ডাক—“আসছে বছর আবার হবে।”