ওয়েবডেস্ক- ফের ব্রিটেনে (Britain) বর্ণবৈষম্যের (Discrimination) শিকার হলেন এক ভারতীয় যুবক (Indian Youth) । ওই যুবককে শুধুমাত্র ভারতীয় হওয়ার জন্য শুনতে হল ‘ক্রীতদাস’ (Slave) এর মতো শব্দ। তবে এর জন্য ছেড়ে কথা বলেননি ওই যুবকও অপমানের বদলা নিত মামলা ঠোকেন তিনিও। এর জন্য বড়সড় মূল্য চোকাতে হল ওই অভিযুক্তকে। জানা গেছে আদালতের নির্দেশে, অভিযুক্তকে ৬৭ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যা ভারতীয় অঙ্কে ৮১. ৩৪ লক্ষ টাকা।
ঘটনার সূত্রপাত দক্ষিণ পূর্ব লন্ডনের এক রেস্তোরাঁয়। সেখানে লন্ডনের জনপ্রিয় রেস্তরাঁ কেএফসির এক আউটলেটে কাজ করতেন তামিলনাড়ুর বাসিন্দা মধেশ রবিচন্দ্রন। সেখানেই ওই আউটলেটের ম্যানেজার তাঁকে উদ্দেশ্য করে ‘ক্রীতদাস’ বলে মন্তব্য করেন। এমনকী শ্রীলঙ্কা বাসিন্দা ওই ম্যানেজার ভারতীয় যুবককে ক্রীতদাস, ভারতীয়রা প্রতারক বলে নানাভাবে হেনস্থা করেন। কাজ থেকেও বের করে দেন। এর পরেই আদালতে মামলা করেন ওই যুবক।
আরও পড়ুন- রাত হলেই লাল হয়ে উঠছে সমুদ্র! প্রশান্ত মহাসাগরে ঘনাচ্ছে রহস্য!
আদালতের বিচারক পল অ্যাবট জানান, রবিচন্দ্রনকে অন্যায়ভাবে কাজ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তা প্রমাণিত। সেইসঙ্গে বর্ণবৈষম্যের মন্তব্য করার যে অভিযোগ উঠেছে তারও সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। ফলে অভিযুক্ত ম্যানেজারকে ৬৭ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রবিচন্দ্রনকে। সেইসঙ্গে আদালত এইভাবে তিনি যাতে কাউকে অপমান না করেন, সেই ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- রাত হলেই লাল হয়ে উঠছে সমুদ্র! প্রশান্ত মহাসাগরে ঘনাচ্ছে রহস্য!
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রেস্তোরাঁর ম্যানেরজার শ্রীলঙ্কার বাসিন্দা কাজনের ওই আউটলেটে রবিচন্দ্রনকে নিয়োগ করেন। নিজের কাজের বিষয়ে কাজনকেই রিপোর্ট করতে হত। বেশ কয়েক রেস্তোরাঁতে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীণ হচ্ছিলেন রবিচন্দ্রন। কাজন রবিচন্দ্রনকে আরও কাজ করাতে বাধ্য করত। সেখান থেকেই এই ধরনের বর্ণবৈষম্যমূলক আচরণের সূত্রপাত।







