লখনউ: স্বামী সংসার ছেড়ে চলে গেছেন বহুদিন। তার পর থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে সংসার সামলে চলেছেন স্ত্রী। কিন্তু ঘটে গেল মিরাক্যাল। যা ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করতে পারেননি স্ত্রী। এক আত্মীয়ের খবর, মহাকুম্ভে (Mahakumbh) পাওয়া গেছে হারিয়ে যাওয়া গেছে হারিয়ে যাওয়া স্বামীকে। আত্মীয়ের পাঠানো সেই ছবি দেখেই মহাকুম্ভে হাজির স্ত্রী।
অবিকল স্বামীর মতো দেখতে এই সাধুবাবা। ওই অঘোরী সাধুকেই নিজের স্বামী বলে দাবি করে বসলেন স্ত্রী। দীর্ঘ ২৭ বছরের দূরত্ব, ‘স্বামী’কে দেখে আবেগে ভাসলেন তিনি। তবে এই দাবি মেনে নিতে অস্বীকার করেছেন সাধুবাবা। স্ত্রীর দাবি, হুবহু স্বামীর মতো দেখতে। মিলেছে কয়েকটি চিহ্নও।
আরও পড়ুন: ‘যমুনায় বিষ’ কেজরিওয়ালকে সমন হরিয়ানা আদালতের
জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের (1998) ঘটনা। পাটনা যাওয়ার পথে হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যান গঙ্গাসাগর যাদব (Gangaram yadav)। আর কোনওদিন বাড়ি ফিরে আসেননি। খোঁজ নেননি স্ত্রী সন্তানদের। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি গঙ্গারামের খোঁজ। পরিবারও আশা ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ মহাকুম্ভে এসে সেই আশ্চর্য ঘটনা ঘটে গেল।
এখন অঘোরী বাবা ৬৫ বছরের বৃদ্ধ। বাবা রাজকুমার নামেই তিনি পরিচিত।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি এক আত্মীয় মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন। বাবা রাজকুমারকে দেখেই চমকে ওঠেন তিনি। গঙ্গাসাগরের সঙ্গে হুবহু তাঁর চেহারার মিল রয়েছে। বাবা রাজকুমারের ছবি তুলে স্ত্রীকে পাঠান তিনি। সেই ছবি দেখেই সন্তানদের নিয়ে স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন মহাকুম্ভে ছুটে আসেন।
গঙ্গাসাগরের স্ত্রী জানিয়েছেন, স্বামীর মতোই দেখতে। দাঁত, কপালে কাটা দাগ, হাঁটুতে দাগ রয়েছে বাবা রাজকুমারের। স্ত্রীর কথায়, তিনি নিশ্চিত ইনিই তাঁর স্বামী।
পরিবারটি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে। ডিএনএ (DNA) পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন। পরিবারের বক্তব্য, তারা যদি ভুল হন বাবা রাজকুমারের (Baba Rajukuma) কাছে ক্ষমা চাইবেন তারা।
দেখুন অন্য খবর: