ওয়েবডেস্ক- কাক-ডাকা ভোরে ই-মেইল পাঠিয়ে ১৪ হাজার কর্মীকে (14 000 Employees) ছাঁটাই করল অ্যামাজন (Amazon) । ঘুম থেকে উঠে কর্মীরা দেখেন, তাদের মেইল চেক করতে বলেছে কোম্পানি। এর কয়েক মিনিট পরেই আসে দ্বিতীয় মেইল, জানিয়ে দেওয়া হয়, কাজ নেই তাদের। বিশ্বের সব থেকে বড় কোম্পানিগুলোর একটি ছাঁটাইয়ের এহেন পথ নেওয়ায় বিস্ময়। অধিকাংশ কর্মীই ছিলেন রিটেইল ম্যানেজার (Retail Manager) । তবে কোম্পানি এখনও জানায়নি কোন বিভাগে কতজন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। তবে কোম্পানি জানিয়েছে যে প্রভাবিত কর্মীরা ৯০ দিন পর্যন্ত পুরো বেতন এবং অন্যান্য সুবিধা পাবেন। এছাড়া তাদের জন্য একটি সিভারেন্স প্যাকেজও প্রদান করা হবে।
বিজনেস ইনসাইডারের পর্যালোচনায় পাওয়া স্ক্রীনশট অনুযায়ী, আমাজন দুইটি টেক্সট মেসেজ পাঠিয়েছে। এর মধ্যে প্রথমটি হল তাদের ব্যক্তিগত কাজের ইমেল চেক করতে বলা হয়েছিল। দ্বিতীয়টি একটি হেল্প ডেস্ক নম্বর দিয়েছিল যদি তারা “আপনার ভূমিকা সম্পর্কিত কোন ইমেইল বার্তা” না পেয়ে থাকেন। এই মেসেজের কিছুক্ষণ পরেই পাঠানো হয়, যাতে কর্মীরা অফিসের এসে বিভ্রান্তিতে না পড়েন, তাদের ব্যাজগুলি নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার পর তারা কাজ করতে না আসেন।
আরও পড়ুন- মহাকাশে পাড়ি দিল ইসরোর সবচেয়ে ভারী উপগ্রহ!
তবে এইভাবে টেক্সট মেসেজ পাঠিয়ে কর্মী ছাঁটাই ইতিমধ্যেই আলোচনা কেন্দ্রবিন্দুতে অ্যামাজন।
আমাজন জানিয়েছে, তাদের এই ছাঁটাইয়ের লক্ষ্য তাদের রিটেল ম্যানেজমেন্ট টিমগুলো,যা গত বছর থেকে শুরু হওয়া কর্মী সংকোচনের একটি অংশ। প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং নতুনত্বের দিকে অগ্রসর হওয়ার উদ্দেশ্যই অ্যামাজনের লক্ষ্য।
অ্যামাজনের হিউম্যান রিসোর্স প্রধান বেথ গ্যালেটি (Amazon’s head of human resources, Beth Galetti) জানিয়েছেন, আধুনিক এআই (AI) প্রযুক্তির উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলি উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে অতি দ্রুত অগ্রসর করেছে। এই দ্রুত পরিবর্তিত বিশ্বে নতুন ধারাতে তারাও পরিবর্তনের নয়া দিশায় এগিয়ে যেতে চাইছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ক্রমবর্ধমান চাপ ও বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় অ্যামাজন-সহ অনেক বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তাদের খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছে। ছাঁটাইয়ের পরেও সংস্থা প্রযুক্তি ও এআই নির্ভর খাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে। ২০২৩ ও ২০২৪ সালেও অ্যামাজন একাধিক বার কর্মী ছাঁটাই করেছিল।
প্রসঙ্গত, অ্যামাজনের কিছু গোপনীয় নথিপত্র ২১ অক্টোবর ফাঁস হয়ে যায়। সেইসমস্ত নথিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে অন্তত ৬ লক্ষ কর্মীর কাজ রোবট ও এআই দিয়ে করানোর রোডম্যাপ তৈরি করছে তারা। যদিও অ্যামাজন বলেছে, এটি সম্ভাব্য কেস স্টাডি, এই ধরনের কোনও পরিকল্পনা সংস্থার নেই।
দেখুন আরও খবর
–







