পূর্ব বর্ধমান: ধর্মের নামে বিভাজনের আবহে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে কালনার (Kalna) ধর্মডাঙা গ্রাম। এখানে ধর্ম নয়, উৎসবই একতার বন্ধন। গ্রামের প্রধান উৎসব লক্ষ্মীপুজো (Laxmi Puja), আর সেই পুজোয় যেমন হিন্দুরা অংশ নেন, তেমনই সমান উদ্দীপনায় সামিল হন মুসলমানরাও (District News)।
পুজোর প্রস্তুতিতে দেখা যায় এক অপূর্ব দৃশ্য, তন্ময়, বাপন, সুশান্তদের সঙ্গে মণ্ডপ সাজাতে, প্রতিমা আনতে ও চাঁদা তুলতে ব্যস্ত আবু, ইরফান, ইনসানরা। ধর্মডাঙায় এ যেন এক অমোঘ ঐতিহ্য, যা বছরের পর বছর ধরে বজায় রেখেছেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: নিরাপদ কলকাতা! শিশু ও প্রবীণদের জন্য দেশের ‘সেরা শহর’, বলছে এনসিআরবি রিপোর্ট
দুর্গা বা সরস্বতী নয়, এখানকার সবচেয়ে বড় উৎসব লক্ষ্মীপুজো। চলে টানা চার দিন ধরে। পুজোর আগের দিন থেকেই শুরু হয় সাজো সাজো রব। প্রতিটি বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনের আগমন, আলোর ঝলকানি আর আনন্দের রেশে মুখরিত গোটা গ্রাম।
গ্রামের স্কুলের সামনে ‘পল্লিশ্রী সঙ্ঘ’-এর আয়োজনে এবারের প্রতিমা প্রায় ১৫ ফুট উচ্চতার। এটি পূজোর ৪২তম বর্ষ। মণ্ডপ তৈরিতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন আবু শেখ, ইনসান শেখ-সহ মুসলিম যুবকরাও।
গ্রামের মুসলিম বাসিন্দা আবু শেখ বলেন, “আমরা সক্রিয়ভাবে পুজোয় অংশ নিই। চাঁদা তোলা থেকে ঠাকুর আনা—সবেতেই আমরা হিন্দু ভাইদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করি।”
ক্লাবের সম্পাদক তন্ময় দাস বলেন, “এখানে হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ নেই। আমরা একসঙ্গেই পুজো করি, উৎসবই আমাদের একতার প্রতীক।” ধর্মডাঙার এই ঐক্যের উৎসব দেখলে বোঝা যায়, “ধর্ম নয়, উৎসবই আসল বন্ধন।”
দেখুন আরও খবর: