কলকাতা: বাংলা ভাষা নিয়ে প্রতিবাদ-প্রতিবাদ সভা-মঞ্চ ভেঙে দেওয়া- ভাঙা মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-সেনার জন্য গর্ব
জাম্প কাট
কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে দুর্গাপুজোয় সেনার পরিবার ও ছেলে-মেয়েদের অংশগ্রহণ।
কী বুঝতে একটু অসুবিধা হল? তাহলে একটু বিস্তারিত বলা যাক-
হিসাব করলে দিন ২২-২৪ আগেকার কথা। বাংলা ও বাঙালির হেনস্থায় মেয়ো রোডে প্রতিবাদ মঞ্চ করেছিল তৃণমূল। আর সেই মঞ্চই খুলে দিয়েছিল সেনা। কার্যত মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার খবর পেয়েই সোজা গান্ধীমূর্তির সামনে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাঙা মঞ্চ থেকে তিনি এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তবে সরাসরি সেনাকে আক্রমণ করেননি মমতা। বরং সেনার কথা বলার সময় তাঁর ভাষা এবং সুর ছিল অনেকটাই সংযত। তিনি বলেন, ‘‘আমার আর্মির বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই। কারণ, আমরা সেনাকে নিয়ে গর্বিত।’’ মমতার মতে, সেনার এই মঞ্চ খোলার নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘‘সেনাকে যখন বিজেপির কথায় চলতে হয়, তখন দেশটা কোথায় যায়, তা নিয়ে সন্দেহ জাগে!”
এমন একটা অবস্থা তৈরি হয় যেখানে কলকাতা পুলিশ-সেনা দ্বন্দ্বের আকার নেয়। কিন্তু দুর্গাপুজোয় যেন সব মিলে মিশে একাকার। কলকাতা পুলিশ বডিগার্ড লাইনস আবাসিক দুর্গাপুজো কমিটির পরিচালনা আর কলকাতা পুলিশের ডেভলপমেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড গ্রিভেন্স রিড্রেসাল কমিটির সহযোগিতায় ৭৫ বছরে পড়ল আলিপুর বডিগার্ড লাইনসের দুর্গাপুজো। আর এই পুজোর ঠিক পাশেই ফোর্ট উইলামের সেনা-জওয়ানদের ক্যাম্প। তাই এই পুজোতে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় সেনা পরিবারের সদস্যরা এবং ছোটদের বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় সেনা পরিবারের খুদেরা। যেন বিবাদ ভুলে একাত্মের বার্তা। এককথায় মুখ্যমন্ত্রীর সেদিনের কথায় যেন মান্যতা দিল আলিপুর বডিগার্ড লাইনসের পুজো।
এই পুজো কমিটির কো-অর্ডিনেটর শান্তনু সিনহা বিশ্বাসের মুখেও যেন মুখ্যমন্ত্রীর কথারই প্রতিফলন। অন্যদিকে, কমিটির কনভেনর রুহুল আমিন আলি শাহ জানান, সেনা আমাদের গর্ব। তাই সেনা পরিবারের অংশগ্রহণ আমাদের কাছে অবশ্যই বিশেষ পাওনা।
বলাবাহুল্য আলিপুর বডিগার্ড লাইনসের এই পুজো উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ডিজিপি রাজীব কুমার। আর পুজোয় প্রতিযোগিতায় পুরষ্কার দেন রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ।
