ওয়েবডেস্ক- প্রবল বৃষ্টিতে (Heavy Rain) বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh)। রাস্তাঘাট জলবন্দি। ৩৩৯টি রাস্তা অবরুদ্ধ। রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলবে। হলুদ সতর্কতা (Yellow Alert) জারি করা হয়েছে। এই প্রতিকূল অবস্থার নিজের পেশায় অবিচল থাকলেন এক নার্স। জীবন-মৃত্যুর মাঝখানে দাঁড়িয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। যার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মাধ্যমে।
রাস্তা অবরুদ্ধ, তাই যাওয়ার কোনও পথ নেই। কিন্তু তাঁকে পৌঁছতেই হবে। কারণ তাঁর হাতেই রয়েছে একরত্তির প্রাণ। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেছে, কাঁধে জীবনদায়ী ইঞ্জেকশনের (Life Saving Injection) ব্যাগ নিয়ে পাহাড়ের টিলায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক মহিলা। পরনে সবুজ চুরিদার। নিচে বইছে খরস্রোতা নদী। এবার কোনও রকমে নিজেকে সামলে তিনি সেই ওষুদের ব্যাগ নিয়ে খরস্রোতা নদীর উপর দিয়ে লাফ দেন।
একবার নিচে পড়লেই সাক্ষাৎ মৃত্যু। কিন্তু তাঁকে যে নদী পার হতেই হবে। দু মাসের শিশুর জীবন রয়েছে তার হাতে। তাই এক টিলা থেকে অপর টিলায় লাফ দেন তিনি। হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি (Mandi) জেলার এই ঘটনা সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। চৌহরঘাটি এলাকার সুদহার পঞ্চায়েতের একটি নার্স এইভাবেই শিশুটির কাছে পৌঁছে যান।
টিক্কর গ্রামের (Tikkar village) বাসিন্দা ওই নার্স কমলা দেবী (Kamala Devi) জানিয়েছেন, ডিউটিতে ছিলেন, তাঁর কাছে ফোন আসে দু’মাসের শিশুকে জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন দিতে হবে। কিন্তু প্রবল বৃষ্টিতে হিমাচলের সাধারণ জীবন বিপর্যস্ত। সেতুও ভেঙে পড়েছে। কিন্তু শিশুটিকে বাঁচাতেই হবে, সেটি তাঁর মাথায় ছিল। তাই পেশার তাগিদে এত বড় ঝুঁকি নেন তিনি। কমলার এই সাহস, পেশার প্রতি দায়বদ্ধতার কারণে মানুষ তাঁকে স্যালুট জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- কুকুরের আক্রমণে ক্ষতবিক্ষত তরুণী, ১৭টি সেলাই পড়ল মুখে
কমলা জানিয়েছেন, প্রতিদিনই তাঁকে চার কিলোমিটার হাঁটতে হয়। রাস্তাঘাট নেই, ব্রিজও সব ভেসে গেছে। কিন্তু তিনি জানেন রোগীর জন্য তাঁকে এই কাজ করতে হবে।
Meet Staff Nurse Kamla, who risked her life to ensure a two-month-old baby received a crucial injection. With the bridge in her area swept away, she crossed the river to reach the child. She is From Paddhar’s Chauharghati, Mandi. @CMOFFICEHP @mansukhmandviya @nhmhimachalp @WHO pic.twitter.com/o9JFmIHskx
— Vinod Katwal (@Katwal_Vinod) August 23, 2025
চিকিৎসকরাও তাঁর কাজে প্রশংসা করেছেন। বিএমও পাধার, ডাঃ সঞ্জয় গুপ্ত বলেন, গত ১৮ আগস্টের আকস্মিক বন্যা কোরাটাং এবং কুংরি অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল, যার ফলে অনেক গ্রাম জলবন্দী হয়ে পড়েছিল। সেই সময়, হুরাং গ্রামের একটি শিশুর জরুরি টিকাকরণের প্রয়োজন ছিল। বিপজ্জনক পরিস্থিতি সত্ত্বেও, কমলা তার কাঁধে ইঞ্জেকশনের বাক্স নিয়ে, উপচে পড়া স্রোত পার করে শিশুটির কাছে পৌঁছান, একরত্তিকে জীবন রক্ষাকারী ডোজ প্রাণ বাঁচান।
দেখুন আরও খবর-