ওয়েবডেস্ক- শোভন-বৈশাখী ( Shovan- Baisakhi) তৃণমূলে (TMC), বৈশাখীর আত্মীয় বিজেপিতে থেকে গেল! দলের তথ্য ফাঁসের আশঙ্কায় খোদ অমিত শাহ (Amit Shah), বিষয়টি জানালো হল রাজ্য সভাপতিকে। বছর ঘুরতেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের আগে অনেক সাংগঠিক রূপরেখা তৈর হবে,যদি তথ্য ফাঁস হয় যায়! কাঁপছে পদ্মশিবির।
রাজ্য রাজনীতিতে এখন অনেক কিছুই ঘটবে। যেমন শোভন- বৈশাখীর (Baisakhi Banerjee) তৃণমূলে যোগদান। এক সময়ে দোর্দণ্ডপ্রতাপ শোভন চট্টোপাধ্যায় (Shovan Chatterjee) দাপিয়ে বেরিয়েছে রাজনীতির অন্দরে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় ‘কানন’ (শোভন চট্টোপাধ্যায়ে ডাক নাম) এক সময় রাজনীতি থেকে নিজে সরিয়ে নিয়েছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি তাঁর পারিবারিক জীবনে নানা কিছু উথালপাথাল হয়েছে, যা এখনও অব্যাহত। তবে শোভন দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরাগভাজন হননি কোনদিনই। মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহের পরশ সব সময় ছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই।
বিধানসভার ভোটের (West Bengal 2026 Assemble Election) আগেই তাই রাজনীতিতে চমক! তৃণমূলে যোগ দিলেন শোভন-বৈশাখী। কিন্তু খটকা অন্য জায়গায়। কারণ বৈশাখীর বোনের ছেলে বিজেপিতেই থেকে গেল। শুধু থেকেই গেল না , ‘পলেসি মেকিং’ এ তার বড় ভুমিকা রয়েছে বলে দাবি বিজেপি র কর্মীদের। এখানেই চিন্তার ভাঁজ! শুধু দলের অন্দরেই নয় খোদ দিল্লিতেও এই বিষয় নিয়ে কথা বার্তা শুরু হয়েছে। তাই সেই বোনের ছেলেকে সরানোর দাবি উঠেছে। ইতিমধ্যেই অমিত শাহ কে সোমবার বিষয়টা জানানো হয়েছে । রাজ্য সভাপতিকেও জানানো হয়।
আরও পড়ুন-
জানা গেছে, ২১ এ নির্বাচনে আগে শোভন বৈশাখীর সঙ্গে সেও বিজপিতে আসে । তারপর বিজেপি হেরে যাবার পর শোভন বৈশাখী মতো সেও হারিয়ে যায় ।
গত কয়েকমাস ধরে দিল্লির সহ অন্য রাজ্যের নানা টিম বিজেপি অফিস এবং রাজ্য জুড়ে কাজ করছে । বিজেপির এক নেতার কথায় বৈশাখী বোনের ছেলে হঠাৎই এই টিমে থেকে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে থাকছে। বলা হচ্ছে, এই ব্যক্তিকে বি এল সন্তোষ পাঠিয়েছে , কেউ বলছেন সুনীল বনশলের লোক ।
দেখা গেছে, মিডিয়া কমিটিতে নেই, সোশ্যাল মিডিয়াতেও নেই, অথচ ভূপেন্দ্র যাদব (Bhupendra Yadav) , বনশলের সাথে ভোট পরিকল্পনা বৈঠকে উপস্থিত থাকছে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে , কে ইনি ? শোভন বৈশাখী চলে গেলেও তৃণমূলের খবর দেবার জন্য কি তাকে রাখা হয়েছে ?
অল্প বয়েসের এই যুবক অধিকাংশ বৈঠকে থাকছেন কেন ? দলের মধ্যে প্রশ্ন । বিজেপি সব জায়গায় অবাধ গতিবিধি তার কেন?
কেউ জানতে চাইলে অকপটে বলেন বি এল সন্তোষ লোক। বৈশাখী-শোভনের তৃণমূলে যাবার পর তার সাথে সুসম্পর্ক নিয়ে আপত্তি উঠেছে। তৃনমূলের যাবার পর বিষয়টি অমিত শাহ এবং রাজ্য সভাপতিকে জানানো হয়। এর মাধ্যমে দলের সব পরিকল্পনা কি তৃণমূলের কাছে চলে যাচ্ছে?? এই প্রশ্ন তুলেছে অনেকে ।
তাকে সব পদ এবং বিজেপির গুরুত্ব পূর্ণ বৈঠক থেকে সরানোর দাবি উঠেছে । অনেকের আশঙ্কা , এর মাধ্যমে যদি সব ইলেকশন পরিকল্পনা শাসক দল জেনে যায় তবে ২৬ ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করবো কি করে??
দেখুন আরও খবর-


                                    




