কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) আহত পড়ুয়া ইন্দ্রানুজ রায়ের বাবা অমিত রায়কে বাবাকে ফোন করে কথা বললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education Minister Bratya Basu)। মঙ্গলবার সকালে ইন্দ্রানুজের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে অমিত রায়কে ফোন করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। শনিবারের ঘটনায় অনুতপ্ত শিক্ষামন্ত্রী। ইন্দ্রানুজ ও তাঁর পরিবারের পাশে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু। একই সঙ্গে ওই দিনের ঘটনায় যাদবপুরের যে সমস্ত পড়ুয়ার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ রয়েছে সে বিষয়েও কতদূর কি করা যায়, তা দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। জানিয়েছেন ইন্দ্রানুজের বাবা অমিত রায়।
জখম পড়ুয়া ইন্দ্রানুজের বাবা অমিত বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে ফোন করেছিলেন। উনি অনুতপ্ত। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। উনি ইন্দ্রানুজের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। বলেছেন, উনি এবং ওঁর স্ত্রী খুবই কষ্ট পাচ্ছেন। ইন্দ্রানুজ ওঁর ছেলের মতো, সেটাও বলেছেন। ইন্দ্রানুজের পিতা এ-ও জানান যে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে ফোনে ইন্দ্রানুজের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। ইন্দ্রানুজ-সহ অন্য পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে যে ‘মিথ্যা অভিযোগ’ দায়ের হয়েছে, সেগুলির নিয়ে ব্রাত্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বলে জানান অমিত। যাদবপুরের সে দিনের ঘটনার পর একাধিক ছাত্র সংগঠন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে। তিনি ও কি ব্রাত্যের পদত্যাগ চান? প্রশ্নের উত্তরে অমিত জানান, তাঁরা পদত্যাগ চান না। বরং চান প্রতিটি পদের গরিমা থাকুক।
আরও পড়ুন: গ্রাম উন্নয়নের জন্য ফের কেন্দ্রীয় বরাদ্দ রাজ্যকে, দেওয়া হল ৬৯৯ কোটি টাকা
গত শনিবার যাদবপুরে নির্বাচনের দাবিতে পড়ুয়াদের আন্দোলন চলছিল। সে সময়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিশ্ববিদ্যালয়ে হেনস্থার শিকার হন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই সময় আহত হন মন্ত্রী। অভিযোগ, এক পড়ুয়াকে চাপা দিয়েছে মন্ত্রীর গাড়ি। অন্য এক পড়ুয়ার পায়ের উপর দিয়ে গাড়ির চাকা চলে গিয়েছে। তাঁর গাড়ির চাকার তলায় চাপা পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়। তবে সরকারের তরফে পাল্টা অভিযোগ, ব্রাত্য বসুকে ঘিরে ফেলে রীতিমতো আক্রমণ চালানো হয় তাঁর উপর।সেই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার রাজ্যের সকল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘট ডেকেছিল বামেদের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবারও বিক্ষিপ্তভাবে অশান্তির রেশ দেখা গিয়েছে রাজ্যের একাধিক কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে।
অন্য খবর দেখুন