কলকাতা: আরজি কর মামলায় (RG Kar Case) আরও তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। সোমবার হাইকোর্টে শুনানির প্রথম দিনই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সিবিআই-এর কাছে জানতে চাইলেন আরজি কর-কাণ্ডে আরও কেউ জড়িত কিনা। এটি গণধর্ষণ, না কি নয়, তা আদালতের কাছে স্পষ্ট করুক সিবিআই (CBI)। সিবিআই আদালতের কাছে আরও খানিকটা সময় চেয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে রাজ্য আদালতে জানিয়েছে এই মামলায় নতুন করে তদন্তে কোনও আপত্তি নেই।
আরজি কর মামলায় সিবিআই তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা ও চিকিৎসকরা। নির্যাতিতার বাবা-মা একাধিকবার দাবি করেছেন এই ঘটনায় সঞ্জয় রায় রায় একা দোষী নন। আরও অনেকেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতিতে গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে বিচারপতি ঘোষের বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, সোমবার আরজি কর মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তিলোত্তমার বাবা আদালতে বলেন, “আমাদের ৫৪ টা প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। আদালতের কাছে আমরা সেই ৫৪ টা প্রশ্ন রেখেছি, তার উত্তর পেতে চাই। আরজি কর মামলায় প্রথম চার্জশিট ইতিমধ্যে পেশ করা হয়েছে। তারপরে এখন সিবিআই কী তদন্ত করছে, তা-ও জানতে চান বিচারপতি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় কি একাই ছিলেন, না কি আরও কেউ ছিলেন? প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি ঘোষ। তাঁর মন্তব্য, এটি গণধর্ষণ, না কি নয়, তা আদালতের কাছে স্পষ্ট করুক সিবিআই। আরজি কর মামলায় সিবিআইকে কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: সিজিও অভিযানে ডাক্তার ও নার্সরা, পুলিশের সঙ্গে বচসায় আন্দোলনকারীরা
এদিনের শুনানিতে কিছুটা আশ্বস্ত হয়লেন নির্যাতিতার মা। তিনি বলেন, মনে হচ্ছে কিছুটা বিচারের দিকে এগোচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘সিবিআইকে আমরা বোঝাতে পারিনি, এটা প্রাতিষ্ঠানিক খুন। এটা ধর্ষণের মোটিভ ছিল না, খুন করাই ছিল মোটিভ। হাসপাতালে জাল ওষুধের দুর্নীতি সে জেনে ফেলেছিল, এত রোগীর মৃত্যু প্রতিবাদ করেছিল, তাই খুন করা হয়েছে।
দেখুন ভিডিও