নয়াদিল্লি: দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) বিচারপতির বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের কাহিনিতে নয়া মোড়। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (Chief Justice Sanjiv Khanna) তিনটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের নিয়ে এই প্রসঙ্গে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। বিচারপতি যশবন্ত বর্মাকে (Justice Yashwant Verma) আপাতত বিচারের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়েছেন তাঁর রিপোর্ট।
এই প্রেক্ষাপটে বিচারপতি বর্মাকে তাঁর ফোনের যাবতীয় তথ্য সুপ্রিম কোর্ট সংরক্ষণ করতে বলেছে। বিগত ছয় মাসে তাঁর বাড়িতে যারা কাজ করেছে, তাদের রেকর্ড রাখতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, বিতর্কিত ওই স্টোর রুমটি বিচারপতির বাসস্থান এলাকার মধ্যে হলেও স্টাফ কোয়ার্টার এবং বিচারপতির আবাসস্থলের মাঝে খোলা অবস্থায় থাকত।
আরও পড়ুন: গোধরা পরবর্তী কাণ্ডে অভিযুক্ত ছয়জনকে মুক্তি সুপ্রিম কোর্টের
এদিকে দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখিত মূখ্য বিষয়গুলি হল:
নয়া দিল্লির তুঘলক ক্রিসেন্ট এলাকায় বিচারপতি বর্মার সরকারি আবাসস্থলে ১৪ মার্চ রাতে আগুন দেখা যায়।
পিসিআর কল মারফত বিচারপতি বর্মার ব্যক্তিগত সচিব আগুন লাগার সংবাদ দেন।
দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে অগ্নিদগ্ধ নগদ টাকা দেখতে পান বলে সংবাদ।
দমকল কর্মীরা সেখানে বিনা বাধাতেই ঢোকেন।
বাড়ির কাজের লোক, বাগানের লোক এবং সিপিডব্লিউডি কর্মীরা ওই স্টোররুম ব্যবহার করেন। এছাড়া পরিত্যক্ত জিনিসপত্র সেখানে রাখা হয়।
১৫ মার্চ সকালে সেই স্টোর রুম থেকে বেশ কিছু আবর্জনা এবং অর্ধদগ্ধ জিনিস সরানো হয়।
বিষয়টির আরও গভীর তদন্তের প্রয়োজন বলে অভিমত দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি উপাধ্যায়ের।
দেখুন খবর: