Saturday, September 20, 2025
বাঙালি কাউন্টডাউন
HomeScrollদ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে! রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে জানালেন পুলিশ সুপার
Rampurhat

দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে! রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে জানালেন পুলিশ সুপার

দোষীকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হবে! রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে জানালেন পুলিশ সুপার

ওয়েব ডেস্ক : বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাটে (Rampurhat) ঘটে গিয়েছিল নৃশংস ঘটনা। এক ছাত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা নিয়ে এবার সাংবাদিক বৈঠক করলেন পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

পুলিশ সুপার বলেন, “এসডিপিও (SDPO) এই ঘটনার তদন্ত করছে। স্পেশাল পাবলিক প্রশিকিউটারও নিয়োগ করা হচ্ছে। ঘটনায় সমস্ত তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। আমি নিজে এবং অন্যান্যরা আইও-কে গাইড করছি। খুব তাড়াতাড়িই আমরা চার্জশিট দেব। চেষ্টা করবো যত দ্রুত সম্ভব দোষীকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ানোর। আসা করছি সমস্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা সেটা করাতে পারবো।”

আরও খবর : কালিয়াগঞ্জ স্কুলপাড়ায় রক্তদান শিবির

সঙ্গে তিনি বলেছেন,” অভিযুক্তকে প্রথমে আটক করার পরে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ পেতে একটু সময় লাগে। সে সব ছাড়া যদি আমরা কাউকে গ্রেফতার করি তাহলে সেক্ষেত্রে সে জামিন পেয়ে যায় অনেকে। সেটা যেন না ঘটে তার জন্যই আমাদের অফিসারদেরকে দিয়ে অনেক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন আমাদের হাতে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ আছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই আমরা চার্জশিট দিয়ে দিতে পারব।” এর পাশাপাশি এই ঘটনা নিয়ে সংবাদ ও সমাজমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হলে, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অগাস্ট থেকে নিখোঁজ ছিল বছর ১৩-র ওই ছাত্রী। টিউশন পড়তে যাওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। ২০ দিন নিখোঁজ থাকার পর বুধবার রামপুরহাট (Rampurhat) থানার বনহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের কুল্লাকাটা গ্রামের জঙ্গল থেকে ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একটি বস্তার মধ্যে ওই ছাত্রীর দেহ ছিল। ঘটনাটি প্রথমে নজরে আসে স্থানীয়দের। এর পর তারা খবর দেয় পুলিশে। তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে এসে ওই ছাত্রীর মৃত দেহ উদ্ধার করে। বস্তার মধ্যে অনেকদিন ধরে থাকায় ওই ছাত্রীর দেহে পচন ধরেছিল বলে খবর। এই ঘটনা সামনে আসার পর তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনায় রামপুরহাট শ্যামপাহারি শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক মনোজ পালকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষকের কাছে টিউশন পড়তে যেত ওই ছাত্রী। মৃতার পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, তাদের মেয়ের উপর ওই শিক্ষকের ‘কুনজর’ ছিল।

এই ঘটনায় সম্প্রতি প্রধান শিক্ষকের উপর চড়াও হয়েছিলেন স্থানীয়রা। তারা অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের স্বভাবের বিষয়ে স্কুলের হেডস্যার গোটা বিষয়টি জানতেন। তারা জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষক যদি আগেই ব্যবস্থা নিতেন তাহলে হয়তো এমন ঘটনা ঘটতো না। তার পরে পুলিশ গিয়ে আক্রান্তকে উদ্ধার করে।

দেখুন অন্য খবর :

 

Read More

Latest News