ওয়েবডেস্ক- বন্যা (Flood) বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। আজ নাগরাকাটায় মুখ্যমন্ত্রী আগামীকাল যাবেন মিরিকে (Mirik)। সেখান থেকে দার্জিলিংয়ে (Darjeeling)। দার্জিলিং-কালিম্পং রিভিউ বৈঠক (Darjeeling Kalimpong Review Meeting) করবেন ।
বন্যা বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গে (North Bengal) রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকালই তিনি উত্তরবঙ্গে আসেন। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, আজ মিরিকে যাবেন। সেখান থেকে দার্জিলিংয়ে। দার্জিলিং ও কালিম্পং নিয়ে একটি রিভিউ মিটিং হবে, তারপর শুক্রবার কলকাতায় ফেরা । ওইদিন পাঁচটি কালীপুজোর উদ্বোধনও করার কথা আছে মুখ্যমন্ত্রীর।
রবিবারই উত্তরবঙ্গে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ত্রাণ ও ক্ষয়ক্ষতি সহ পুনর্গঠনের কাজ খতিয়ে দেখেন তিনি। যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি তিনি কেন্দ্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, আমরা সাহায্যের জন্য বসে থাকি না। পাঁচ বছর ধরে আমাদের সরকার ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করে রেখেছে। আবাস যোজনার টাকাও দেওয়া হচ্ছে না। গ্রামীণ যোজনার টাকাও বন্ধ করে রেখে দিয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য এক টাকাও দেয় না। সর্বশিক্ষা মিশনের টাকাও কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। জলের টাকাও বন্ধ করে দিয়েছে। এই যে ৯’কোটি মানুষকে খাদ্যসাথীতে রেশন দেওয়া হয় সেখানেও একের চার শতাংশ টাকাও কেন্দ্রীয় সরকার দেয় না-সবটাই আমরা নিজেদের থেকে করি।
আরও পড়ুন- ‘৬০ হাজার লিড চাই’, ২৬- র নির্বাচনের আগে পুরোনো ফর্মে অনুব্রত মন্ডল
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গে বিপর্যস্ত দুর্গত মানুষের পাশে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য প্রশাসন যুদ্ধ কালীন তৎপরতায় ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজ চালাচ্ছে। প্রতিটি জেলায় জেলায় ত্রাণের কাজ চলছে। গৃহহীনদের জন্য খোলা হয়েছে অস্থায়ী আশ্রয় শিবির, চালু হয়েছে ত্রাণ রান্নাঘর ও চিকিৎসা কেন্দ্র। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির গুলির মূল্যায়নে জিও-ট্যাগ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে, যাতে গৃহনির্মাণ অনুদান স্বচ্ছভাবে বিতরণ করা যায়। হারিয়ে যাওয়া নথিও পুনরুদ্ধাররে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যোগাযোগ পুনর্গঠনে পূর্ত দফতর ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর (SDRF) একযোগে কাজ করছে ।
তিস্তাবাজার থেকে কালিম্পং-দার্জিলিং সংযোগকারী এসএইচ-১২ রাস্তায় পুনর্গঠনের কাজ দ্রুততার সঙ্গে চলছে, মানুষের যাতায়াতের অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষকদের জন্য বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করার কাজ চলছে। সেইসঙ্গে সরিষা, মসুর ও ভুট্টার বীজ বিতরণ করা হচ্ছে। সুফল বাংলার ৪৬টি মোবাইল ভ্যান চালু হওয়ায় দুর্গত এলাকায় সবজি ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে।
দেখুন আরও খবর-