ওয়েব ডেস্ক: কালীপুজো মানেই আলোর উৎসব। কালীপুজো, দীপাবলি আর ছটপুজো মানেই এরসঙ্গে জড়িয়ে থাকে বাজি ফটানোর উৎসবও। তবে বাজি ফাটাতে গিয়েই অনেক সময় ঘটে যায় বড় অঘটন। পুড়ে যায় হাত সহ শরীরের নানা অংশ। এমন হলে কী করবেন? প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে ঘরোয়া কিছু টোটকা রয়েছে। জেনে নিন বিশদে…
আলোর উৎসবে মেতে উঠেছে সারা দেশ। আলোর উৎসব শুধুমাত্র আলোয় সীমাবদ্ধ নয়। দীপাবলির আনন্দে মিশে রয়েছে আতসবাজি। বাজি পুড়িয়ে কালীপুজোয় আনন্দ উদযাপন কোনও নতুন বিষয় নয়। কিন্তু এই বাজি পোড়ানোর সঙ্গে এর ক্ষতিকারক দিকগুলো সম্পর্কে অবগত থাকা জরুরি। যেমন বাজির ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের ফুসফুস, চোখ ইত্যাদি। পাশাপাশি বাজি পোড়াতে গিয়ে সামান্য অসচেতনতা ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। অসাবধানতার কারণে বাজি পোড়াতে গিয়ে শরীরে যে কোনও অংশ পুড়ে যেতে পারে। বিশেষত, শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকতে হয়। হাত, পায়ের সামান্য অংশ পুড়লে ঘরোয়ায় টোটকায় সামাল দিতে পারবেন। কিন্তু বড় অংশ ক্ষতি হলে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে রোগীকে। এমনটাই বলেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: দীপাবলিতে কলকাতা মেট্রো পরিষেবায় ব্যাপক রদবদল, বদলে গেল দিনের প্রথম ও শেষ মেট্রোর সময়
কী করবেন আর কী করবেন না দেখে নিন …
- শরীরের যে অংশই পুড়ুক আর যতটুকুই পুড়ুক, সঙ্গে সঙ্গে পোড়া অংশ বরফ ঠান্ডা জলে ডুবিয়ে রাখুন। এছাড়া আপনি ওই পোড়া অংশে ঠান্ডা বা বরফ কম্প্রেস করতে পারেন। পোড়া অংশে ঠান্ডা কম্প্রেস করলে ব্যথা, ফোলাভাব এবং দাগ পড়ার ঝুঁকি কমে যাবে।
- অনেকেই হয়তো জানেন না যে নারকেল তেল পুড়ে যাওয়া ত্বকের চিকিৎসায় দারুণ সহায়ক। নারকেল তেলের মধ্যে ভিটামিন ই রয়েছে যা ত্বকে পোড়া দাগ পড়তে দেয় না।
- পুড়ে যাওয়া স্থানে সাবান বা কোনও প্রকার প্রসাধনী পণ্য ব্যবহার করবেন না। পোড়া জায়গা শুকনো না হওয়া পর্যন্ত কোনও ক্রিম লাগাবেন না। আর যদি ক্ষত খুব বেশি হয় তাহলে দ্রুত কোনও স্থানীয় চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
- হাতের কাছে পুড়ে যাওয়ার মলম রাখুন। বরফ ঠান্ডা জলে পোড়া অংশ ডুবিয়ে রাখার পর মলম লাগিয়ে নিন। এরপর ওই অংশে ভেসলিন গজ লাগিয়ে নিন। এতে ক্ষত তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
- যদি ক্ষত খুব বেশি না হয়, তাহলে আপনি পুড়ে যাওয়া অংশে ভেষজ অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা ত্বকের ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করবে।
- ছোটখাটো ক্ষয়ের ক্ষেত্রে মধু খুব উপযোগী। পুড়ে যাওয়া অংশে আপনি মধু লাগাতে পারেন। মধু দ্রুত ক্ষত সারিয়ে তোলে।
বাজি পোড়ানোর সময় এই সাবধানতা কোনও মতেই ভুলবেন না
- সুতির পোশাক পরুন। শিশুদের অবশ্যই পা ঢাকা জুতো পরান।
- ধোঁয়ায় কোনও সমস্যা হলে তড়িঘড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- বাজি যেখানে পোড়ানো হবে, তার আশেপাশে যাতে দাহ্য পদার্থ না থাকে সেদিকে নজর রাখুন।
- বাজি পোড়ানোর জায়গার কাছে জল রাখুন। যাতে কোনও সমস্যা হলেই ব্যবহার করা যায়।
- মজার ছলে কারও দিকে বাজি ছুঁড়বেন না। এর ফলে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
দেখুন খবর: