ওয়েবডেস্ক- দূষণে হাঁসফাঁস দিল্লি (Delhi)। দমবন্ধ পরিবেশ। চোখ জ্বালা থেকে শ্বাসকষ্ট সব কিছু মিলিয়ে মানুষের অবস্থা খারাপ হয়ে উঠছে। দীপাবলির পর থেকে ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন অনলাইনে করার নির্দেশ দিয়েছে রেখা গুপ্তার সরকার (Rekha Gupta Government) । এবার দিল্লি সরকার রাজ্যে ৫০ শতাংশ ‘ওয়ার্ক ফর্ম হোম’ (Work From Home) এর নির্দেশ দিল সরকার।
কেবল সরকারি নয়, বেসরকারি সংস্থাতেও এই নিয়ম চালু করার করার বলা হয়েছে। এই নিয়ম না মানলে কড়া জরিমানা। ১৮ ডিসেম্বর থেকে এই নিয়ম কার্যকর করা হবে। দূষণ রুখতে দিল্লি সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। ক্লাউড সিডিং করার পরেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। নির্মাণ কাজও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে নির্মাণ কর্মীদের ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
দীপাবলির সময় থেকেই বাতাসে দূষিত কণার মাত্রা বৃদ্ধি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে পরিস্থিতি কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না।
সিপিসিবির তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৭টায় দিল্লির একিউআই ৩৭৭। মঙ্গলবার যা ছিল ৪৯৮। অর্থাৎ কালকের থেকে আজকের পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত। দূষণের গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে দিল্লি। কিছুতেই অবস্থা বাগে আনা যাচ্ছে না। ক্রমশই দূষিত কণার মাত্রা বাড়ছে, যা ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে মানুষের জীবনকে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি দিল্লির সমস্ত স্কুলগুলিকে ‘হাইব্রিড’ পদ্ধতিতে পঠনপাঠন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সোমবার পূর্ববর্তী সেই নির্দেশে কিছু বদল আনা হয়েছে, দিল্লির সমস্ত স্কুলগুলিতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইনে পঠনপাঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- দূষণের গ্যাস চেম্বার দিল্লি! পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইনে পঠনপাঠন
প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ও বিজেপি নেত্রী কিরণ বেদি কয়েকদিন আগেই দাবি করেন, রাজধানীর বর্তমান পরিস্থিতি করোনার সঙ্গে তুলনীয়। এহেন পরিস্থিতিতে দূষণ যে শিশু ও বর্ষীয়ানদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেরই চোখজ্বালা ও ক্রমাগত কাশির উপসর্গ রয়েছে। জল স্প্রে করে দূষণকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। কিছুতেই পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।
দেখুন আরও খবর-







