কলকাতা: শীতের সকালে তখন ঘুম ভাঙেনি কলকাতাবাসীর (Kolkata)। এর মাঝেই কেঁপে উঠল মাটি। নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই ভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হল শহর কলকাতায়। তবে এই ভূকম্পনের উৎসস্থল এখানে নয়, নেপাল (Nepal) থেকে সৃষ্টি হয়েছে কম্পন। এর প্রভাবে ভারত (India), বাংলাদেশ (Bangladesh), ভুটান (Bhutan), চীন (China) এবং নেপালে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.১।
জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নেপালের গোকর্ণেশ্বরের কাছে, যেটি লোবুচে থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। প্রথম কম্পনটি অনুভূত হয় সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে। এর কিছুক্ষণ পরই আবার কয়েক দফা কম্পন অনুভূত হয়। দ্বিতীয় কম্পনটি ছিল সকাল ৭টা ২ মিনিটে, যার মাত্রা ছিল ৪.৭। এরপর সকাল ৭টা ৭ মিনিটে তৃতীয় দফায় ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রথম দুই কম্পনের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার, তৃতীয়টি ছিল ৩০ কিলোমিটার গভীরে।
আরও পড়ুন: ‘এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই ‘ বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা, কলকাতা, বিহার এবং দিল্লি-এনসিআর-এও মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে। উত্তরবঙ্গে পরপর দু’বার কম্পন টের পাওয়া যায়। শীতের সকালে আচমকা এই ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়ায়। অফিসের কাজ কিংবা মর্নিং ওয়াকে থাকা মানুষজন নিরাপত্তার খোঁজে খোলা জায়গায় বেরিয়ে আসেন।
সূত্র অনুযায়ী, চিনের তিব্বত অঞ্চলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৮। নেপাল-তিব্বত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আফটারশকও অনুভূত হয়েছে। চতুর্থ কম্পনটি হয় সকাল ৭টা ১৩ মিনিটে, যার মাত্রা ছিল ৫। এখনও পর্যন্ত কোনও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভূমিকম্পের এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রাথমিক ভূমিকম্পের পর আরও কিছু আফটারশকের সম্ভাবনা রয়েছে।
দেখুন আরও খবর: