ওয়েব ডেস্ক: ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এআইআর (SIR) প্রক্রিয়া চলাকালীন সেরিব্রাল অ্যাটাক (Cerebral Attack) হওয়া বিএলও-কে এবার কাজ থেকে অব্যাহতি দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। জানা গিয়েছে, ওই বিএলও- র নাম তপতী বিশ্বাস। তিনি কোন্নগরের নবগ্রামের বাসিন্দা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার রাত ১০টা ৪৫ নাগাদ SIR ফর্ম বিতরণ করার সময় ফর্ম বিলির সময় রাস্তাতেই মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে তাঁর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তপতীর রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি। উচ্চ রক্তচাপও রয়েছে। তবে তিনি নাকি নিময়িত ওষুধ খেতেন না। সেই কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসক শম্ভুদীপ সরকার হাসপাতালে গিয়ে তপতী ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি, সমস্তরকম সাহায্য করার আশ্বাস দেন। উত্তরপাড়া থানার পুলিশও হাসপাতালে গিয়ে তপতীর খোঁজখবর নেন। প্রাথমিকভাবে তপতীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও, পরিবারের সদস্য সমীরণ বিশ্বাস জানিয়েছেন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের পরিমাণ বোঝার জন্য এমআরআই রিপোর্টের অপেক্ষা করতে হবে। যদিও, এবার কমিশনের তরফে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন: SIR নিয়ে ফের কমিশনকে চিঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, কী লেখা রয়েছে চিঠিতে?
৬০ বছরের কোন্নগর নবগ্রামের বাসিন্দা তপতী বিশ্বাস কোন্নগর পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড, উত্তরপাড়া বিধানসভার ২৭৯ নম্বর বুথে BLO হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। তাঁর স্বামী প্রবীর বিশ্বাস অভিযোগ করেছেন যে SIR ফর্মের QR কোড স্ক্যান করে অনলাইনে আপলোড করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। এত চাপের কারণে তিনি প্রায় সারা রাত ঘুমোতে পারেননি। তিনি ঘন ঘন ফোন পেতেন ফর্ম জমা দেওয়ার জন্য।
এসআইআর–এর কাজ নিয়ে রাজ্যজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বহু জায়গায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়। মানুষকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে, এই আশঙ্কা থেকে অনেকেই মানসিক চাপে ভুগছেন বলে অভিযোগ। গত কয়েক দিনে এসআইআর আতঙ্কে আত্মহত্যার ঘটনাও সামনে এসেছে। শুধু সাধারণ মানুষ নন, বিএলওদের মধ্যেও চাপ বাড়ছে বলে অভিযোগ। বুধবার মালবাজারে এক মহিলা বিএলও-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের দাবি, এসআইআর–এর কাজের চাপই তাঁর মৃত্যুর কারণ।
দেখুন খবর:







