ওয়েব ডেস্ক: প্রায় প্রতিটি গৃহস্থ বাড়িতেই লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করা হয়। নিজে হাতে প্রতিমা সাজিয়ে, পুজোর ব্যবস্থাপনা, ভোগ রান্না করেন গৃহিণীরা। সকাল থেকে উপোস করে বেলা গড়ালে হবে ধন-সম্পদের দেবীর পুজো। তবে মাথায় রাখতে হবে, এ দিন সকাল থেকে উপোস করে থাকতে চাইলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। নইলে শরীরের হাল যেতে পারে বিগড়ে। তাঁদের পরামর্শ, শরীর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন খাবার খান। নইলে বড় কোনও বিপদ হতে পারে।
উপোসের সঙ্গে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি…
- কোজগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন সকালে লেবু জল কিংবা রাতভর জিরে ভেজানো জল খেয়ে নিন। তাতে হজমের সমস্যা কমতে পারে।
- কিছুক্ষণ পর লাল চা এবং সঙ্গে খান বিস্কুট। ভেজানো আমন্ড খেতে পারেন। অবশ্যই খোসা ছাড়িয়ে আমন্ড খাবেন।
- হালকা খাবার কিছু খাওয়ার পর একটু বেলায় ফল খান। তালিকায় থাকতে পারে আপেল, কলা, পাকা পেঁপে।
- অবশ্যই এদিন একটা ডাবের জল খান। তাতে শরীরে এনার্জি এবং জলের জোগান দু’টিই হবে।
- দুপুরের দিকে হালকা খাওয়াদাওয়া করুন। সাবুদানার খিচুড়ি খেতে পারেন। কিছুক্ষণ পর একটু টকদই খেতে পারেন। তার সঙ্গে শশা খেলেও মন্দ হয় না।
- বিকেলের দিকে মাখানা খেতে পারেন। তারপর খান চা-বিস্কুট। কোজগরীর লক্ষ্মীপুজোর দিন যেহেতু খাওয়াদাওয়া একটু অনিয়ম হতে পারে, তাই দুধ চা না খাওয়াই ভালো।
- পুজো শেষে লুচি না খাওয়াই ভালো। তার বদলে ভোগের খিচুড়ি খেতে পারেন। আর না হলে সমস্ত সবজি দিয়ে স্যুপ খেতে পারেন। কিংবা ছানাও খেতে পারেন।
- সারাদিনের পরিশ্রমের পর রাতে যাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয়, সেদিকে নজর দিন। নইলে বদহজম-সহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন কেন রাত জাগতে হয়? এর পিছনে কোন কারণ রয়েছে?
উপোস করার পরই অনেকে গ্যাস, অ্যাসিডিটিতে ভোগেন। তাই সকালেই একটা প্যান্টোপ্রাজল জাতীয় ওষুধ খেতে বলেন চিকিৎসকেরা। তাতেই গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা এড়িয়ে চলা যাবে । অনেকেরই না খেয়ে থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে সমস্যা হলে মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর নির্দিষ্ট ওষুধ খেতে হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনে প্যারাসিটামলও খেতে পারেন। তাতেই উপকার মিলবে।
দেখুন খবর: