ওয়েবডেস্ক- উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) বসিরহাট মহাকুমার (Basirhat Mahakuma) হাসনাবাদ (Hasanabad) রামেশ্বরপুর ঘোষ বাড়ির পুজো (Rameshwarpur Ghosh house puja) ৩০৩ বছরের। গদাধর ঘোষ (Gadadhar Ghosh) প্রথম পুজো চালু করেছিলেন। সেই বংশপরম্পরা মেনে আজও ঠাকুর দালানে পুজো হয়ে আসছে। জমিদারি নেই কিন্তু প্রাচীন ইতিহাস সংস্কৃতি জড়িয়ে রয়েছে ঘোষ বাড়ির দালানকোঠায়।
এখনও এই বাড়িতে আসলে ছাদের মাথায় উঠলে ওপার বাংলাদেশ দেখা যায়। অবিভক্ত বাংলাদেশ প্রচুর মানুষ এই পুজোর ঠাকুর দালাল এসে ভিড় করত। সীমান্তের বেড়াজালে আজ সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে এখনও ঘোষ বাড়ির পুজোয় ঠাকুর দেখতে আসেন।
ওপার বাংলার দর্শনার্থী নতুন প্রজন্ম তুহিন ঘোষ বলেন, পুজোর দিনে আমাদের মাইকের মুখ থাকে ওপার বাংলারদিকে। এখানকার মন্ত্রপাঠ থেকে শুরু করে মায়ের আরাধনা উপচার ওপার বাংলাদেশের যেসব আমাদের আত্মীয়-স্বজন আছে তারা এখনও শোনেন। অপেক্ষা করে থাকেন ঘোষ বাড়ির পুজোর মন্ত্র পাঠ শোনার অপেক্ষায়।
আরও পড়ুন- বিজেপির মুখেও ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের প্রশংসা!
তৃপ্তি ঘোষ বলেন, এই দালান কোঠায় বহু প্রাচীন ইতিহাস সংস্কৃতি জড়িয়ে রয়েছে। ১৯৭১ সালের তরুণ মজুমদারের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি নিমন্ত্রণ ছবির শুটিং হয়েছিল এই ঠাকুরদালানে। অনুপ কুমার, সন্ধ্যা রায় সেই সময়ে দালানকোঠায় ছাগল চড়িয়েছিলেন। পাশাপাশি ইছামতী নদীতে নৌকায় করে গিয়ে ওপার বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। এছাড়া সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শাস্তি ছবির চিত্রনাট্য হয়েছিল এই দালানকোঠায়। তাই আজ ঘোষ বাড়ির পুজো গ্রামের পুজো হয়ে দাঁড়িয়েছে। বংশপরম্পরায় দাস পরিবারের মহিলা প্রতিমা শিল্পীরা আজও প্রতিমা করেন।
প্রতিমা শিল্পী সাধনা দাস বলেন, আমার পুরনো প্রজন্ম, তারপরের প্রজন্ম শাশুড়ি এই প্রতিমা গড়েছেন।
ঘোষবাড়ির পুজো মহালয়ার দিন থেকে সূচনা হয়। প্রতিপদে থেকে দশ দিন পুজো শুরু হয়ে যায়, আজও সেই প্রাচীন সংস্কৃতি বহন করে চলেছে ঘোষ বাড়ির পুজো।
দেখুন আরও খবর-