Monday, September 22, 2025
বাঙালি কাউন্টডাউন
HomeScrollসাঁকরাইলে দুর্গা পুজো ব্রাহ্মণ নন, করেন লোধা জনজাতির পুরুষরা!
Durga Puja

সাঁকরাইলে দুর্গা পুজো ব্রাহ্মণ নন, করেন লোধা জনজাতির পুরুষরা!

ব্রাহ্মণ নয়, এখানে লোধা জনজাতির পুরুষের হাতে পূজিত হন দেবী দুর্গা!

ওয়েব ডেস্ক : দুর্গা পুজোর (Durga Puja) বাদ্যি বেজে গেছে। বনেদি বাড়ি, ক্লাব কিংবা বারোয়ারি পুজোর সাজসজ্জায় এখন উৎসবমুখর পুরো জেলা। তবে এই উৎসবের জৌলুস ছাড়িয়ে, ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার সাঁকরাইল (Sankrail) ব্লকের পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাথরকাটি গ্রামের জয়চণ্ডী মন্দিরে পুজো চলছে নিয়ম-নিষ্ঠা সহকারে, বহু বছরের ঐতিহ্য ধরে। লোধা অধ্যুষিত এই গ্রামে বছরের প্রতিটি দিনই নিত্যপুজো হয়ে থাকে।

তবে এখানে কোনো ব্রাহ্মণ পুরোহিত নন; লোধা জনজাতির পুরুষরা নিজেরাই দেবীর পুজো করেন। অতীতে দুর্গা পুজোর (Durga Puja) সময় বাইরে থেকে পুরোহিত আনা হলেও, ফলমূল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় স্থানীয় লোধা পুরোহিতরা সেই প্রথা বন্ধ করেন। এরপর থেকেই দুর্গাপুজো সহ নিত্যপুজোর সমস্ত দায়িত্ব লোধা সম্প্রদায় নিজেই পালন করছেন। মন্দিরের ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে পূজার সামগ্রী পর্যন্ত সবই তাঁদের উদ্যোগে সম্পন্ন হয়।

আরও খবর : “জিএসটিতে আসল কৃতিত্ব রাজ্যের, কেন্দ্রের শুধু ভাষণ”! তোপ মমতার

মন্দির প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে এক অলৌকিক কাহিনি। বহু বছর আগে রাম লোধা নামের এক গ্রামবাসী শিকার না পেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। কয়েকদিনের অনাহারে থাকা তাঁর কাছে দেবী স্বপ্নাদেশ দেন – জংলী ধুনো, ফলমূল ও চিটাগুড়ের লাড্ডু নিবেদন করলে তিনি সন্তুষ্ট হবেন। সেই নির্দেশ মেনে পুজো শুরু করলে ধীরে ধীরে তাঁদের শিকার পাওয়া শুরু হয়। এরপর থেকেই জয়চণ্ডী দেবীর পুজো নিয়মিত হয়ে চলেছে। দুর্গা পুজোর (Durga Puja) সময় এখানে বড় মাপের মেলা বসে। ঝাড়খণ্ড সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু ভক্ত এসে দেবীর আশীর্বাদ গ্রহণ করেন।

জাগ্রত এই মন্দির শুধু ধর্মীয় বিশ্বাসের কেন্দ্র নয়, বরং স্থানীয় লোধা সমাজের ঐক্য, আত্মনির্ভরতা এবং ঐতিহ্যের এক অনন্য উদাহরণ। এই বছরও নিয়ম-নীতি মেনে পুজো শুরু হবে। গ্রামবাসীরা নিজেদের হাতে মন্দির পরিষ্কার, সাজসজ্জা ও পূজার আয়োজন করছেন। উৎসবের আনন্দে ভরে উঠেছে পাথরকাটি গ্রাম।

দেখুন অন্য খবর :

Read More

Latest News