Thursday, September 4, 2025
HomeScrollগুজরাটের ইলিশের রকমারি পদ দিয়ে রসনা তৃপ্ত করছে বাঙালি!

গুজরাটের ইলিশের রকমারি পদ দিয়ে রসনা তৃপ্ত করছে বাঙালি!

রাজ্যে ইলিশ উৎপাদন কম, তাই চাহিদা মেটাতে ভরসা গুজরাটের ইলিশ!

ওয়েব ডেস্ক : ভরা বর্ষাতেও এবারে এই রাজ্যে ইলিশ (Hilsa Fish) উৎপাদন কম। বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারও এখনও পর্যন্ত এ দেশে পাঠায়নি পদ্মার ইলিশ। তাই ঘাটতি পূরণে এবারে বাংলার ভরসা গুজরাটের (Gujrat) ইলিশ। এ বছরে গুজরাট থেকে রেকর্ড পরিমাণ ইলিশ আমদানি করেছেন হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা। তাই রাজনৈতিক দূরত্ব যতই থাকুক না কেন আপাতত বাঙালি রসনা তৃপ্ত করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য।

ফি বছর ভোর হতেই হাওড়া (Howrah) স্টেশন লাগোয়া হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ইলিশ মাছ ভর্তি লরি চলে আসে। কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার, দীঘা, শংকরপুর সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ইলিশ ভর্তি লরি এবং ট্রাক চলে আসে হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারে। তবে এবারের ছবিটা একেবারে আলাদা। ওইসব জায়গা গুলোতে মাছের উৎপাদন কম হওয়ায় সেভাবে আর ইলিশের গাড়ি আসছে না। তার বদলে ইলিশ মাছ সরাসরি আসছে গুজরাটের ভারুচ থেকে। প্রতিদিন গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ মেট্রিক টন ইলিশ ভর্তি বিশেষ ট্রাক মাছ নিয়ে ঢ়ুকছে বাজারে।

আরও খবর : জেলাগুলিতে আধার কার্ডে গরমিল নিয়ে সরব হলেন সুকান্ত!

ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, “এ বছরে রেকর্ড পরিমাণ গুজরাটের ইলিশ আমদানি করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ৪৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ আমদানি করা হয়েছে যা হাওড়া ছাড়াও কলকাতার সবকটি বড় বড় বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। যেহেতু এই ইলিশের স্বাদ খুব ভালো সেই কারণে সাধারণ ক্রেতার কাছে চাহিদা বেশ ভালো।” জানা গেছে, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ মাছ (Hilsa Fish) পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা দরে। ৯০০ থেকে ১১০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা দরে। সেই মাছ খুচরো বাজারে কেজি প্রতি ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এই বাজার থেকেই কলকাতার শিয়ালদা, মানিকতলা, লেক মার্কেট, দমদম, গড়িয়াহাট, সল্টলেক, বেহালা সহ সবকটি বড় বড় বাজারে মাছ ছড়িয়ে পড়ছে। এমনকি এখান থেকেই ওই মাছ সরাসরি চলে যাচ্ছে ব্যাঙ্গালোর, মুম্বাই , দিল্লি, গুয়াহাটি, হায়দ্রাবাদ, শিলিগুড়ি সহ বড় বড় শহরে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন গুজরাট থেকে ৮০ শতাংশ মাছ লরিতে এলেও ২০ শতাংশ মাছ ট্রেনে আসছে।

এক লরি চালক মহম্মদ বশির বলেন, “লরিতে বিশেষ রেফ্রিজারেটরের ব্যবস্থা আছে। মাছকে বিশেষ প্যাকেজিং এর মাধ্যমে নিয়ে আসা হয়। গুজরাট থেকে এখানে আসতে তিন দিন সময় লাগে। বাংলা মানুষের কাছে ইলিশের প্রচুর চাহিদা থাকায় গুজরাট থেকে প্রতিদিন অনেক গাড়ি আসছে।” দক্ষিণ কলকাতার বাঘাযতীন বাজারের খুচরো মাছ বিক্রেতা জয়দেব দাস বলেন,”এবারে গুজরাটের ইলিশের বিক্রি খুব ভালো। সুস্বাদু অথচ দাম একটু কম হওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।”

মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন প্রতি বছর দূর্গা পূজার আগে বাংলাদেশী সরকার পূজোর উপহার হিসাবে পদ্মার ইলিশ কলকাতায় পাঠায়। আমদানি চলে প্রায় একমাস ধরে। ফিস ইনপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গত জুলাই মাসে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এবারেও মাছ পাঠানোর অনুরোধ জানায়। যেহেতু বাংলাদেশে এবারে ইলিশের উৎপাদন কম তাই কবে এপার বাংলায় মাছ পাঠাবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ব্যবসায়ীদের আশা খুব শীঘ্রই তারা মাছ পাঠানোর অনুমতি দেবে। তাই এবারে আপাতত গুজরাটের (Gujrat) ইলিশের রকমারি পদ দিয়ে রসনা তৃপ্ত করছে বাঙালি।

দেখুন অন্য খবর :

Read More

Latest News