হাওড়া: রাস্তার দুধারে চোখ মেলে তাকালেই দেখা যায় চারিদিকে গজিয়ে উঠছে মুড়ি মুড়কির মতো ফ্ল্যাটবাড়ি (Flat)। নিজের বাড়ি এখন সেইরকম দেখা যায় না। নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির দৌলতে এখন ফ্ল্যাটবাড়ি তাদের নিজস্বতা তুলে ধরছে। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়।
কারণ ফ্ল্যাটবাড়ির ভীত কতখানি মজবুত, আদৌই সঠিক সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ হচ্ছে তা কেউ খতিয়ে দেখার প্রয়োজন মনে করেন না। যারা ফ্ল্যাটবাড়িগুলি কেনেন, তারা কতগুলো ঘর, স্ক্যোয়ারফুট কত, ব্যালকনি পাব কিনা সেই নিয়েই ব্যস্ত থাকে। কিন্ত নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে কারুর মাথা ঘামানোর সময় নেই। কিন্তু এবার মাথা ঘামানোর সময় এসেছে।
আরও পড়ুন: ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় বসতেই বাংলাদেশ নিয়ে ভারত, আমেরিকা কথা
গাফিলতি প্রথমে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে বাঘাযতীন। সেখানে একটি ফ্ল্যাটবাড়ি হেলে পড়েছে।
এর পর ট্যাংরা (Tangra)। সেখানেও হেলে পড়ল একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। বাগুইআটিতে (baguiati) একই ছবি ধরা পড়ল। আর এবার আতঙ্কের চিত্র ধরা পড়ল হাওড়ার (Howrah) শরৎ চ্যাটার্জি রোডে। সেখানে একে অপরের দিকে হেলে রয়েছে একটি জোড়া ফ্ল্যাটবাড়ি। বাড়ি দুটির উপরের অংশ একে অপরের সঙ্গে লেগে রয়েছে। ফলে ফ্ল্যাটবাড়ির বাসিন্দারের তো বটেই, স্থানীয় এলাকার মধ্যেও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
প্রোমোটার তারাচাঁদ বাজাজের দাবি, বারান্দার অংশ বাড়াতে গিয়ে ওই ঘটনায় ঘটেছে। কিন্তু দু’টি বহুতলের ব্যবধান কেন বাড়ানো হল না, সেই বিষয়ে তিনি কোনও সদত্তর দিতে পারেননি।
বহুতলটি বেআইনি বলে দাবি করেছেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বহুতলটি বেআইনি। বাড়ি তৈরির সময়েই ওই ঘটনা ঘটেছিল। কোনও অভিযোগ জানিয়ে কাজ হয়নি। হাওড়ার পুরপ্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছে, বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকদেরা ওখানে যাবে সমীক্ষা করে সমস্ত রিপোর্ট জমা দেবে। বলেন, ‘‘বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকেরা ওখানে গিয়ে সমীক্ষা করে রিপোর্ট দেবে।’’
দেখুন অন্য খবর: