কলকাতা: রাজ্যের বিধানসভা ভোটের (West Bengal Assembly Election 2026) আগে রাজনৈতিক ময়দান আরও বড় করতে চলেছেন তৃণমূল (TMC) ছেড়ে নিজের দল গড়া হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। শনিবার জনতা উন্নয়ন দলের প্রতিষ্ঠাতা জানান, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ১৮২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাঁর দল।
হুমায়ুনের দাবি, ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)–এর সঙ্গে জোট করছেন তিনি। পাশাপাশি, আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল এআইএমআইএম (মিম)–এর সঙ্গেও জোটের চেষ্টা চলছে বলে জানান। যদিও আইএসএফের তরফে এখনও জোট নিয়ে কোনও সরকারি বিবৃতি মেলেনি।
আরও পড়ুন: একই বুথে ৪৯১ ভোটারকে শুনানির নোটিস! আতঙ্কে এলাকাবাসী
এর আগে হুমায়ুন কবীর জানিয়েছিলেন, রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৩৫টি আসনে লড়বে জনতা উন্নয়ন পার্টি। অন্তত ৯০টি আসন জেতার লক্ষ্য তাঁর। ভরতপুরের বিধায়ক দাবি করেন, সরকার গঠনে নির্ণায়ক ভূমিকা নেবেন তাঁর দল।
শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হুমায়ুন বলেন, “আমাদের একটাই লক্ষ্য— বিজেপিকে আটকানো। আর যাঁরা আমাকে গদ্দার বলছেন, তাঁরাই মুসলিম সমাজের সঙ্গে বারবার গদ্দারি করেছেন। ওয়াকফ আইন নিয়ে ভাঁওতা দিয়েছেন।”
ভোটের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে হুমায়ুন জানান, “১৮২টি আসনে লড়ে কী ফল করব, সেটা সময়ই বলবে। তবে একটা কথা বলতে পারি— মিরাকল রেজাল্ট হবে। বাংলার রাজনীতিতে যা আগে কেউ পারেননি।” তিনি আরও বলেন, “আগে বাংলা কংগ্রেস হয়েছে, সিপিআই থেকে সিপিএম হয়েছে। আগামী দিনে বাংলা রাজনীতিতে আমি আর আইএসএফ একজোট হচ্ছি। মিম যোগ দিলে স্বাগত।”
যদিও আসন বণ্টন নিয়ে আপাতত মুখ খুলছেন না তিনি। হুমায়ুন জানান, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জোটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করবেন, তার পর ঘোষণা করা হবে।
প্রচারের রূপরেখাও স্পষ্ট করেছেন হুমায়ুন। দিনে তিনটি করে বিধানসভায় প্রচার, সময় বাঁচাতে হেলিকপ্টার ব্যবহারের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস বা সিপিএম— কাউকেই নিয়ে ভাবিত নন বলেই দাবি তাঁর। হুমায়ুনের কথায়, “হোক না লড়াই! বাংলার মানুষ কাকে বেছে নেন, দেখা যাক।”
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএম–কংগ্রেস জোটের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল আইএসএফ। এবার হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে তাদের জোটের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিষয়টি নিয়ে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর এক সহযোগী জানান, তিনি কর্মসূচিতে ব্যস্ত রয়েছেন। পরে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।







