ওয়েব ডেস্ক: তেল কিনছে ভারত (India)। ছাড় দিচ্ছে রাশিয়া (Russia)। বাণিজ্যিক তালমিলে বিপুল লাভবান দুই দেশ। রাশিয়া (Russian oil) থেকে কম দামে বেশি পরিমাণ তেল কেনা যে কেবল বাণিজ্যিক সম্পর্কের খাতিরেই, তা নয়, এর পিছনে কূটনৈতিক বার্তাও রয়েছে। এবং আমেরিকাকে সেই বার্তাই দিচ্ছে ভারত। হোয়াইট হাউসের চোখ রাঙানিকে যে ভারত গুরুত্ব দিচ্ছে না, বরং অবজ্ঞাই করছে, ট্রাম্প প্রশাসনকে সেই বার্তাও দিতে চাইছে মোদির সরকার (Modi’s Government)।
রাশিয়া থেকে তেল কেনায় ভারতের উপর বেজায় চটে আমেরিকা। পুরনো বন্ধুত্ব ভুলে স্রেফ বাণিজ্যিক স্বার্থকে ঢাল করে ভারতের উপরে জরিমানা সমেত ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপায় হোয়াইট হাউস। কিন্তু তাতেও ঘাড় ঝোঁকায়নি দিল্লি। বরং পাল্টা চালে চিন ও রাশিয়াকে আরও কাছে টেনে কূটনৈতিক বার্তা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনকে। তারই এক ঝলক চিনে সদ্য সমাপ্ত SCO সম্মেলনে তিন শক্তিধর দেশের শীর্ষ নেতার অন্তরঙ্গ মুহূর্ত। সম্মেলনের ফাঁকে চিন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মোদির পার্শ্ববৈঠকও ঘুম কেড়েছে আমেরিকার। ভারত যে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে না, বরং উত্তরোত্তর বাড়াবে, তা ইতিমধ্যেই ঠারেঠোরে আমেরিকাকে বুঝিয়ে দিয়েছে ভারত। বন্ধুত্বের উপহার হিসেবে রাশিয়াও আরও কম দামে ভারতকে তেল বিক্রি করতে চাইছে। পুজোর পরেপরেই ব্যারলপিছু তিন থেকে চার মার্কিন ডলার দাম কমতে পারে বলে আন্তর্জাতিক মহলের খবর।
আরও পড়ুন:জঙ্গি মদতে ফের পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে চলেছে ভারত!
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের গোড়ায় রাশিয়া থেকে তেল কেনার উপরে নানা রকম বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল পাশ্চাত্যের একাধিক দেশ। বাধ্য হয়ে রাশিয়া কম দামে তেল বিক্রি শুরু করে। কিন্তু পশ্চিমি বিশ্বের নিষেধাজ্ঞা না মেনে রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যায় ভারত। এবং গত ক’বছরে ০.২ শতাংশ থেকে তেলের আমদানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশ। রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি তেল কেনে চিন। তারপরে ভারত ও তৃতীয় তুরস্ক। কূটনৈতিক মহলের মত, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমেরিকা থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনা কমিয়ে রাশিয়া থেকে যুদ্ধাস্ত্র কেনা বাড়িয়ে দিতে পারে ভারত। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে আলোচনাও চলছে।
অন্য খবর দেখুন