ওয়েব ডেস্ক : ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) ২০ দফা প্রস্তাবে রাজি হওয়ার পরও গাজায় হামলা চালাল ইজরায়েল (Israel)। ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, এই হামলার পর আদৌ কি শান্তি ফিরবে গাজায় (Gaza)? না এই সংঘর্ষ আরও দীর্ঘ হবে।
সূত্রের খবর, শনিবার এই হামলা চালানো হয়। যার ফলে একটি ঘরের মধ্যে থাকা চার জনের মৃত্যু হয়। আর দক্ষিণের খান ইউনিসে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়। গাজার (Gaza) স্থানীয় প্রশাসন প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে হামাস ট্রাম্পের দেওয়া যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব মেনে নিয়েছে এবং পণবন্দিদের ফিরিয়ে দেওয়ারও কথা জানিয়েছে, সেখানে এমন হামলা কেন করা হল?
অন্যদিকে, কয়েকদিন আগে এই যুদ্ধ থামানোর জন্য ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। এর পরেই আমেরিকার তরফে ২০ দফা প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, গাজাকে সন্ত্রাসবাদীদের দখল থেকে মুক্ত করতে হবে। দু’পক্ষই এই প্রস্তাব মেনে নিলে দ্রুত যুদ্ধ বিরতি হবে। পাশপাশি বলা হয়েছিল, ৭২ ঘন্টার মধ্যে ফিরিয়ে দিতে হবে জীবিত ও মৃত পণবন্দিদের। ইজরায়েলও সমস্ত বন্দিদের মুক্তি দেবে। তা হওয়ার পরেই ত্রান পাঠানো হবে গাজায় (Gaza)। পাশপাশি হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, এই প্রস্তাব যদি মানা না হয়, তাহলে নরক নেমে আসবে।
আরও খবর : ট্রাম্পের প্রস্তাবে রাজি হামাস! গাজায় বন্ধ হতে চলেছে যুদ্ধ
ট্রাম্পের এই প্রস্তাবকে মেনে নেয় ইজরায়েল (Israel)। প্রথমে কিছু না বললেও পরে সেই প্রস্তাব মেনে নেয় হামাসও। হামাসের তরফে জানানো হয়েছিল, তারা বন্দিদের ফিরিয়ে দেবে। তারা গোটা পরিস্থিতি নিয়ে ইজরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। গাজার শাসনভার কোনও প্যালেস্তিনীয় গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিতে চায় বলে জানিয়েছেন তারা। কিন্তু এর মাঝে ফের গাজায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। যার জেরে মৃত্যু হল ৬ জনের।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইজরায়েলে (Israel) ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিল হামাস (Hamas)। তাতে ১২ জনের প্রাণ গিয়েছিল। বহু ইজরায়েলিকে পণবন্দিও করা হয়েছিল। এর পরেই বদলা নিতে গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইজরায়েল। তার পর থেকে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা। মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার মানুষের। আর সেই যুদ্ধ থামাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন ট্রাম্প। এই যুদ্ধ বন্ধ করা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব মেনে নিল হামাস। ফলে গাজায় শান্তি ফিরতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেখুন অন্য খবর :