ওয়েব ডেস্ক: কাশ্মীর যেন পরিণত হয়েছে এক বরফরাজ্যে! শনিবার সকাল থেকেই উপত্যকার আবহাওয়ায় নেমে এসেছে নাটকীয় পরিবর্তন। আনন্তনাগ, কুলগাম, শোপিয়ান ও পুলওয়ামার সমতল এলাকাগুলিতে এবার বরফের চাদর (Snowfall) বিস্তৃত হয়েছে, যা সচরাচর দেখা যায় না। গুলমার্গ, সোনামার্গ ও পাহেলগামের মতো পাহাড়ি পর্যটনকেন্দ্র তো এমনিতেই বরফে মোড়া, এবার সমতলভূমিতেও সেই শ্বেতসুন্দর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। পর্যটকদের জন্য এই পরিস্থিতি স্বপ্নের মতো হলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনে কিছুটা দুর্ভোগও নিয়ে এসেছে এই অকাল তুষারপাত।
বান্দিপোরার গুরেজ, কুপওয়ারার বেশ কিছু অঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকাগুলোতেও বরফ ঝরতে শুরু করেছে। বিশেষ করে উঁচু এলাকাগুলিতে তুষারপাতের তীব্রতা বেশি, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। একদিকে বরফের রাজত্ব, অন্যদিকে উপত্যকার অধিকাংশ অংশেই টানা বৃষ্টি চলছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বরফ ও বৃষ্টির এই যুগলবন্দি আগামী কয়েকদিন চলতে পারে।
আরও পড়ুন: গুলমার্গ ফ্যাশন শো নিয়ে তোলপাড়, সমন পাঠাল আদালত
বৃষ্টির কারণে শ্রীনগরসহ বিভিন্ন শহরে ঠান্ডা বেড়েছে কয়েকগুণ। পাহাড় থেকে নেমে আসা হিমেল বাতাসে জমে যাচ্ছে গোটা উপত্যকা। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক (Jammu-Srinagar Highway) সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় বরফ জমে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে এবং জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।
তবে এই প্রতিকূলতার মাঝেও কাশ্মীরের প্রকৃতি এক অনন্য সৌন্দর্যে সেজে উঠেছে। সোনামার্গ, গুলমার্গের মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে বরফের মোড়ক জড়ানো সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। হোটেল ও পর্যটন ব্যবসার ক্ষেত্রেও ইতিবাচক সাড়া মিলছে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এটি স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ওপর বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে।
এই কঠিন পরিস্থিতিতেও কাশ্মীরের সংবাদমাধ্যম নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। প্রতিকূল আবহাওয়া, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং বিজ্ঞাপনের আয় কমে যাওয়া (Falling Revenues) সত্ত্বেও সত্য সংবাদ পরিবেশনের ব্রত নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সাংবাদিকরা। কঠিন সময়েও জনগণের কাছে সঠিক খবর পৌঁছে দিতে তারা সদা প্রস্তুত।
দেখুন আরও খবর: