ওয়েব ডেস্ক : বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাটে (Rampurhat) ছাত্রী খুনের ঘটনায় এবার জনতার রোষে স্কুলের প্রধান শিক্ষক। বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। এমনকি পরিস্থিতি সামলাতে আসা পুলিশের গাড়িতেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মনোজ পালের স্বভাব সম্পর্কে সব কিছু জানতেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেননি তিনি। বরং অভিযুক্তকে প্রধান শিক্ষক আড়াল করেছেন বলে দাবি স্থানীয়দের।
জানা গিয়েছিল, রামপুরহাট (RampurHat) এলাকার বাসিন্দা ছিল ওই ছাত্রী। গত ২৮ অগাস্ট থেকে নিখোঁজ ছিল সে। বছর ১৩-এর ওই ছাত্রী টিউশন পড়তে যাওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল। পরিবারের তরফে এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বুধবার ওই ছাত্রীর মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও খবর : কেমন চলছে বাগনান বাঙালপুরের ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি?
সূত্রের খবর, বুধবার রামপুরহাট (Rampurhat) থানার বনহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের কুল্লাকাটা গ্রামের জঙ্গল থেকে ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একটি বস্তার মধ্যে ওই ছাত্রীর দেহ ছিল। ঘটনাটি প্রথমে নজরে আসে স্থানীয়দের। এর পর তারা খবর দেয় পুলিশে। তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে এসে ওই ছাত্রীর মৃত দেহ উদ্ধার করে। বস্তার মধ্যে অনেকদিন ধরে থাকায় ওই ছাত্রীর দেহে পচন ধরেছিল বলে খবর। এই ঘটনা সামনে আসার পর তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনায় রামপুরহাট শ্যামপাহারি শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠের এক শিক্ষক মনোজ পালকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষকের কাছে টিউশন পড়তে যেত ওই ছাত্রী। মৃতার পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, তাদের মেয়ের উপর ওই শিক্ষকের ‘কুনজর’ ছিল।
স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষকের স্বভাবের বিষয়ে স্কুলের হেডস্যার গোটা বিষয়টি জানতেন। তারা জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষক যদি আগেই ব্যবস্থা নিতেন তাহলে হয়তো এমন ঘটনা ঘটতো না। তা নিয়েই আজ স্কুলে চড়াও হন স্থানীয়রা। তার পরেই স্কুলের ভিতর থেকে প্রধান শিক্ষককে টেনে হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে আসা হয়। এর পর তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তার পরে পুলিশ গিয়ে আক্রান্তকে উদ্ধার করে।
দেখুন অন্য খবর :