ওয়েবডেস্ক- প্রবল চাপের মুখে পিছু হটল নেপাল সরকার (Nepal Government) । ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) প্ল্যাটফর্মের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ১৯ জন নিহত, ৩০০ র বেশি আহত হওয়ায় উত্তেজনা তুঙ্গে। গৃহমন্ত্রী রমেশ লেখক (Home Minister Ramesh Lakhakar) পদত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলিরও (Prime Minister KP Sharma Oli) পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। তবে সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এক প্রধানমন্ত্রী অলি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স জানিয়েছে যে তারা কখনও নেপালে সরকারিভাবে নিবন্ধন করবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গত প্রায় দেড় বছর ধরে এই ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে সরকারিভাবে নিবন্ধিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছি। আমরা শুধু নেপালে আইন মেনে চলতে বলেছিলাম। কারণ এটি এটি সঙ্গে আমাদের জাতীয় সার্বভৌমত্বের সম্মানের সঙ্গে সরাসরি যোগদসূত্র রয়েছে।
রাজধানী কাঠমান্ডুতে সেনা মোতায়েন, সংসদ ভবন ঘিরে কড়া পাহারা। বিরোধীরা জানিয়েছে, শুধু নিষেধাজ্ঞা তোলা নয় সরকারকে রক্তপাতের জবাবদিহি করতেই হবে। মঙ্গলবার ফের পথে নামবে Gen z রা।
দেশটির যোগাযোগ ও তথ্যমন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গতকালই মন্ত্রিসভার এক জরুরি বৈঠকে জেন জি’র দাবি মেনে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- ‘জেন জেড’ বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ নেপাল, মৃত ২১, পদত্যাগ নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
গত ৪ সেপ্টেম্বর নেপালে নিষিদ্ধ হয় ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স-সহ প্রায় সব ধরনের সোশাল মিডিয়া। সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা নেপাল প্রশাসনের সঙ্গে সরকারি ভাবে নথিবদ্ধ হয়নি। সাতদিনের ডেডলাইন দিলেও তা মেনে চলেনি ২৬টি সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের একটিও। এর পরেই কড়া সিদ্ধান্ত নেয় নেপাল সরকার। এর পরেই ক্রোধের আগুনে জ্বলে ওঠে নেপালের জেন জি (জেনারেশন জেড) (Jen ji)।
সরকারের এমন পদক্ষেপে ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে দেশটির স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। শুরুর দিকে এই বিক্ষোভে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি থাকলেও গতকাল এটি সরকারবিরোধী আন্দোলনে মোড় নেয়। কাঠমান্ডুর বাণেশ্বরসহ বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত নিহত হন ১৯ জন, আহত হয়েছেন আরও শতাধিক।
দেখুন আরও খবর-