কলকাতা: বাংলাদেশে (Bangladesh) হাদি-কাণ্ডের পর উত্তেজনার পারদ যখন তুঙ্গে, ঠিক সেই আবহেই কলকাতাকে নিশানা করে প্রকাশ্যে হুমকি দিলেন বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ছাত্রনেতা আলি আহসান জোনায়েদ। বিতর্কিত মন্তব্যে তিনি বলেন, “গুজরাতের (Gujrat) কসাই বাংলাদেশের কসাইকে আশ্রয় দিয়েছে”—এবং প্রয়োজনে “৩০ কোটি বাংলাদেশিকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় যাওয়ার” হুঁশিয়ারিও দেন।
হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হওয়া বিক্ষোভের মধ্যেই এই মন্তব্য সামনে এসেছে। ‘গুজরাতের কসাই’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করে জোনায়েদ সরাসরি ভারতকে নিশানা করেন। তাঁর অভিযোগ, “গুজরাতের কসাই বাংলাদেশের কসাইকে আশ্রয় দিয়েছে”—ইঙ্গিত স্পষ্টতই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: জনরোষে জ্বলছে বাংলাদেশ! আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ ইউনুস সরকার?
জোনায়েদের আরও দাবি, শরিফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি চালানোর পিছনে ভারতীয় মদতের ইঙ্গিত রয়েছে। উস্কানিমূলক ভাষায় তিনি বলেন, “আমাদের ভদ্রতার জবাবে যদি আমার সহযোদ্ধাদের গুলি করা হয়, তাহলে সেই সন্ত্রাসীদের মাটিতে পিষে ফেলতে হবে। ভারত আমাদের ভদ্রতাকে দুর্বলতা মনে করছে। ভারত থেকেই পরিকল্পনা করে আমার ভাইকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।”
এখানেই থামেননি ওই ছাত্রনেতা। আরও এক ধাপ এগিয়ে হুমকির সুরে জোনায়েদ বলেন,
“যতদিন শহিদ শরিফ ওসমান হাদির ভাই ও বন্ধুরা বাংলাদেশে বেঁচে থাকবে, ততদিন ভারত শান্তিতে থাকতে পারবে না। আমরা ভয় পাই না। প্রয়োজনে ৩০ কোটি বাংলাদেশিকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় যেতে পারি এবং বাংলাদেশের কসাইকে ভারত থেকে ছিনিয়ে আনতে পারি।”
এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্কের উত্তেজনা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি, সীমান্ত নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক স্তরে বিষয়টি কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, সেদিকেও নজর রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলের।







