Tuesday, December 30, 2025
HomeScrollবিজেপি-কে ক্ষমতায় এনে সোনার বাংলা গড়ার ডাক শাহের
Amit Shah

বিজেপি-কে ক্ষমতায় এনে সোনার বাংলা গড়ার ডাক শাহের

২৬-এর লক্ষ্য স্থির করলেন শাহ

কলকাতা: রাজ্যে শুরু হয়েছে এসআইআরের শুনানি। বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) মাঝে কলকাতায় এসেই রাজ্যে সরকার গড়া নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে ‘প্রত্যয়ী’ সুর শোনালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শাহ বলেন, ‘এপ্রিলে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন’ (WB Assembly Election 2026) । ‘পশ্চিমবঙ্গে ভয়-দুর্নীতি-কুশাসন চলছে’। ‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সুশাসন আনতে বদ্ধ পরিকর’। পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ রুখবই, চ্যালেঞ্জ অমিত শাহের। ‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গের পুনর্জাগরণ হবে’। ‘১৫ এপ্রিলের পর পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার’। ‘ছাব্বিশে বিপুল ভোট পেয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি’। কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Abhishek Banerjee)।

রাজ্যে বিজেপির নির্বাচনী ইতিহাস তুলে ধরে ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটে জয়ের ব্যাপারে ফের আত্মবিশ্বাসী শাহ। কয়েক বছরে বিজেপির ভোট শতাংশ বেড়েছে, সেই ধারাবাহিকতার জোরেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল গরিষ্ঠতায় সরকার গড়বে বিজেপি (BJP)।এ বার যে বাংলায় বিজেপির সরকার হবে, তা মজবুত ভিত্তির উপরে দাঁড়িয়ে বলছি।২০১৪ সালে ১৭ শতাংশ ভোট। ২০১৬ সালে ১০ শতাংশ ভোট। ২০১৯ সাল ৪১ শতাংশ ভোট, ১৮ আসন। ২০২১ সালে ৩৮ শতাংশ ভোট, ৭৭ আসন। ২০২৪ সালের ভোটে ৩৯ শতাংশ ভোট এবং ১২টি আসন। ২০২৬ সালে বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়ব।

দুর্নীতির প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেও প্রশ্ন ছুড়ে দেন শাহ। তাঁর দাবি, “মন্ত্রীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, জীবনকৃষ্ণ সাহা, কুণাল ঘোষ— একের পর এক তৃণমূল নেতাকে জেল খাটতে হয়েছে। তার পরেও কী ভাবে বলা হয়, রাজ্যে দুর্নীতি নেই?অভিষেকের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “এখন বাংলায় কামানোর অধিকার একমাত্র ভাইপোর। আর কারও অধিকার নেই। শিল্প ক্ষেত্রে বাংলা পুরোপুরি ধ্বংস। রাজ্য সরকারকে নিশানা করে শাহ বলেন, “উন্নয়ন চলে গিয়েছে সিন্ডিকেটের কবলে। বিজেপি সরকার গঠন করার পরে বঙ্গ গৌরব, বঙ্গ সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ ঘটাব। স্বামী বিবেকানন্দ, বঙ্কিম বাবু, গুরুদেব এবং শ‍্যামাপ্রসাদের স্বপ্নের বাংলা বানাব। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ফের ‘তোষণের রাজনীতি’র অভিযোগ তোলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, “এখন দেখছি তোষণের রাজনীতির ক্ষত ঢাকতে মলম লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু কোনও মলমই আর কাজ করবে না।

আরও পড়ুন:শুধু আটকাবো না, অনুপ্রবেশকারীদের বেছে বেছে ভারত থেকে বার করবো: শাহ

ন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গে কেন কার্যকর হচ্ছে না, তা নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেন শাহ।তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন তাই কোনও ইস্যুতেই মুখ খুলছেন না। ভোটব‍্যাঙ্ক হারানোর ভয় পান মমতা। সেই কারণেই কেন্দ্রের প্রকল্প রাজ্যে কার্যকর করতে দেওয়া হয় না বলে দাবি শাহের। পিএম কিসান এবং আয়ুষ্মান ভারতের মতো প্রকল্পগুলির কথাও তুলে শাহ বলেন, মোদিজীকে ভয় পান, তাঁর জনপ্রিয়তাকে ভয় পান, তাই আয়ুষ্মান ভারত কার্যকর হতে দিচ্ছেন না।ভারত সরকারের কর্মবর্গ প্রশিক্ষণ দফতরের বিধি বিকৃত করা হচ্ছে এ রাজ্যে। মমতাকে কটাক্ষ করে শাহ বলেন, ‘CAA কর্মসূচির বিরোধিতাতেও সামিল তৃণমূল’। ‘দেশের কোন সরকার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে বাধা দেয়?’ ‘একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারই BSF-কে জমি দেয়নি’। এই অনুপ্রবেশ শুধু এখানকার মানুষের সমস্যা নয়, দেশের সুরক্ষার জন্যও গুরুতর বিপদ।

‘ছাব্বিশের ভোট হবে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে’, বললেন অমিত শাহ। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের (WB Assembly Election 2026) দিকে ইঙ্গিত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট বার্তা দেন, বাংলায় বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশ প্রশ্নে কড়া অবস্থান নেওয়া হবে। তাঁর হুঁশিয়ারি, “ক্ষমতায় এলে শুধু অনুপ্রবেশ রোখাই নয়, যারা বেআইনিভাবে ঢুকেছে তাদের চিহ্নিত করে দেশের বাইরে পাঠানো হবে।”রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে অনুপ্রবেশ ইস্যুকেই ফের এক বার কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে সামনে আনতে চাইছে বিজেপি। দিল্লি এবং বিহারের ভোটে গেরুয়া পতাকা উড়িছে। এবার ফোকাসে বাংলা। সেই লক্ষ্যে ২০২৬-এর ভোটের আগেই বাংলায় এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

Read More

Latest News