কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Primary Teachers Recruitment Scam) সিবিআইয়ের মামলায় জামিন মিলল অন্যতম অভিযুক্ত হুগলির বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা শান্তুনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Santanu Banerjee)। সংশোধনাগারে বসে জামিনের খবর শুনে কেঁদে ফেললেন শান্তনু। আইনি সুইসাবুদের পরই তিনি জেল থেকে বের হতে পারবেন। আগে ইডির মামলায় জামিন পেলেও সিবিআইয়ের মামলায় জেলবন্দি ছিলেন শান্তুনু (CBI Shantanu Banerjee Gets Bail)। বৃহস্পতিবার সিবিআই মামলায় জামিন পেলেন হুগলির বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা। প্রায় ২ বছর পর কারাগারে বাইরে বেরবেন। জামিন মিলেও আদালত শান্তনুর উপর বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছে।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে মামলায় নাম জড়ানোর পর ২০২৩ সালে শান্তনুকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পরে এই মামলায় সিবিআইও তাঁকে হেফাজতে নেয়। দুর্নীতির অন্যতম কারিগর হিসাবে সিবিআই-এর তদন্তে উঠে আসে শান্তনুর নাম। এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের যে অডিও শান্তনুর কণ্ঠস্বরও শোনা গিয়েছে বলে দাবি করেছে সিবিআই। অডিও মেলানোর জন্য শান্তনুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই সংক্রান্ত চার্জশিটেও শান্তনুর নামে একাধিক অভিযোগ এনেছে। একাধিক বার সিবিআইয়ের মামলা থেকে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন শান্তনু। প্রতিবারেই প্রভাবশালী তকমায় তা খারিজ হয়ে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: ইডেনে কেকেআর ম্যাচ! মাঝরাতে মিলবে স্পেশাল মেট্রো
বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামিন মঞ্জুর করে বিচারক। তবে শর্তসাপেক্ষে শান্তনুকে জামিন দেওয়া হয়েছে। ১ লক্ষ টাকার সিকিউরিটি বন্ডের বিনিময়ে জামিন মিলেছে। এছাড়া তাঁর গতিবিধি নিয়েও একাধিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সিবিআই আদালতের বিচারক জানিয়েছেন, কলকাতা, হুগলি-সহ চারটি জেলার বাইরে বেরতে পারবেন না শান্তনু। তদন্তকারী অফিসার যখন ডাকবেন, তখনই হাজিরা দিতে হবে। যে মোবাইল নম্বর তিনি ব্যবহার করছেন, তা দিয়ে রাখতে হবে তদন্তকারী অফিসারকে।
অন্য খবর দেখুন