ওয়েব ডেস্ক : ছোটবেলায় হারিয়েছিলেন চোখ। তারপর থেকে একটা চোখ দিয়েই সব কাজ করতেন মন্দির বাজারের (Mandir bazar) রবীন্দ্রনাথ হালদার (Rabindranath Haldar)। তিনি এক চোখ দিয়েই শোলার ডিজাইন করতে পারেন। বেশ কয়েকবছর ধরে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন জায়গায়। আর তার ফলে এবছর রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছে অর্ডার। ফলে খুশি এই হালদার পরিবার। এবছর কাজের চাপ এত বেড়েছে যে পরিবারের চার সদস্যই এই শোলার কাজ করছেন। আগে এই কাজ করে তেমন উপার্জন হত না। তবে এখন পরিস্থিতি বদলেছে বলে জানিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ হালদারের সহধর্মিনী কৃষ্ণা হালদার।
এই গ্রামের সবথেকে প্রবীন ব্যক্তি রীবন্দ্রনাথ হালদার (Rabindranath Haldar)। তাঁর কাছ থেকেই কাজ শিখেছেন অনেকেই। সেজন্য তিনি এই গ্রামের সম্মানীয় ব্যক্তি। তবে তিনি একচোখে দেখতে পান না। সেই প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে নিজের জেদের বশেই মন্দিরবাজারে এখনও ৮২ বছর বয়সে প্রতিমার সাজসজ্জা তৈরি করেন।
আরও খবর : ‘এসো দূর করি এ জীর্ণতা’ প্রতিপদে এল মুখ্যমন্ত্রীর নতুন গান
বাঁ-চোখ ছোটবেলাতেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কিন্ত ডান চোখে ভরসা করে শোলা দিয়ে দেবীমূর্তি, গয়না, দেবীর সাজসজ্জা তৈরির কাজ করেন তিনি। তাঁর তৈরি শোলার গয়না, সাজসজ্জা এবার যাবে মুম্বাই, দিল্লি, ইন্দোরের মত বড় বড় শহরে।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এই সাফল্য মেলায় খুশি তিনি। সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে শোলা শিল্পকে যে একটি যায়গায় নিয়ে যাওয়া যায় তা শেষ বয়সে এসে দেখিয়ে দেলেন মন্দিরেবাজারের মহেশপুরের রবীন্দ্রনাথ হালদার (Rabindranath Haldar)। তিনিও অনুপ্রেরণা হয়ে থাকলেন অনেকের।
দেখুন অন্য খবর :