কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের ১৬২ দিনের মাথায় রায় ঘোষণা করবে শিয়ালদহ আদালত। ইতিমধ্যেই আদালতে পৌঁচ্ছে গিয়েছেন বিচারক ও আইনজীবীরা। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের আইনজীবী কবিতা সরকার শিয়ালদহ আদালতে (Sealdah Court) এসেছেন। আদালতের ২২০ নম্বর কোর্ট রুমে রায় ঘোষণা হবে। নিরাপত্তার কড়া চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে শিয়ালদহ আদালত চত্বর। আদালত চত্বরে পরপর ব্যারিকেড, পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। আরজি কর (RG Kar Medical College and Hospital) রায় ঘিরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা আদালতে। এই শহর কিংবা এই রাজ্য শুধু নয়, গোটা দেশের নজর সেদিকেই। রায় ঘোষণা করবেন বিচারক অনির্বাণ দাস (Judge Anirban Das)।
শনিবার সকাল থেকে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে আদালত চত্বর। অযাচিত কোনও ব্যক্তি যাতে আদালত কক্ষে প্রবেশ না করতে পারে, তার জন্য কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তাই বাড়ল আদালত চত্বরের নিরাপত্তা। গার্ডরেলে মুড়ে ফেলা হয়েছে আদালত চত্বর। ২০০ কনস্টেবল, ৩ জন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক মোতায়েন করা হয়েছে। সঞ্জয়কে যে পথে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে আদালতে আনা হবে, ওই রাস্তায় নিরাপত্তাতেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের রায়দান আর কিছুক্ষণ পরেই
২০২৪-এর ৯ অগাস্ট আর আজ ২০২৫ সালের ১৮ জানুয়ারি। মাঝখানে কেটে গিয়েছে পাঁচ মাস নয় দিন। শুরুতে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) তদন্তে নামে এবং দ্রুত ধর্ষণ-খুন কাণ্ডের একমাত্র অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Ray) গ্রেফতার করে। এরপর তদন্তভার চলে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI) হাতে। সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ১০ সদস্যের একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন। আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব বর্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে। সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে আরজি করে চিকিৎসকের খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে। এর মধ্যে এই শহর দেখে রাত দখল, জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য ভবন অভিযান, ধর্মতলা চত্বরে ডাক্তারদের অনশন আন্দোলন। বিচার চেয়ে শহর থেকে জেলায় সাধারণ মানুষ পথে নেমেছে।
এর মধ্যে সিবিআই চার্জশিট জমা দেয় আদালতে। ৫০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে নিম্ন আদালত। শেষে আজ রায় দান করবেন বিচারক। কিন্তু এই রায় দানে সুখী নন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাদের দাবি এখনও অপরাধীরা ঘুরে বেরাচ্ছে। ১৬২ দিন পর আজ ১৮ জানুয়ারি শিয়ালদহ আদালতে রায় ঘোষণা হতে পারে এই মামলার। রায়দান রুদ্ধদ্বার কক্ষে হবে না। যেহেতু এই মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল, তাই শনিবার বিচারক ঘোষণা করতে পারেন, অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই দোষী, নাকি নির্দোষ। শনিবার সঞ্জয়কে আদালতে হাজির করা হবে। বিচারক তাঁর রায় অভিযুক্তকে শোনাবেন।
দেখুন ভিডিও