কলকাতা: আরজি কর মামলায়(RG Kar Case) সঞ্জয় রায়কে (Civic Volunteer Sanjay Roy) দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। ঘটনার ১৬২ দিনের মাথায় রায় ঘোষণা করল বিচারক অনির্বাণ দাস। সঞ্জয় রায় দোষী সাব্যস্ত হতেই কোর্ট রুমের ভিতরে কেঁদে ফেললেন নির্যাতিতা তরুণী বাবা। তারপর বিচারকের উদেশ্যে হাতজড়ো কিছু বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বিচারক অনির্বাণ দাস বলার অনুমতি দেন। নির্যাতিতার বাবা কাঁদতে কাঁদতেই বিচারককে ধন্যবাদ জানান।
আরজি করের (RG Kar Case) ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে ৫ মাস ৯ দিন পর রায় ঘোষণা করলেন বিচারক অনিবার্ণ দাস। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬, ১০৩(১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় সঞ্জয় রায়কে। এই ধারা অনুযায়ী যাব্বজীবন কারাবাস অথবা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে সঞ্জয়ের। সোমবার এই মামলার সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক। সমস্ত তথ্য প্রমাণ ও সাক্ষীর ভিত্তিতে সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করল শিয়ালদহ আদালত। রায় ঘোষণার পর সঞ্জয় আদালতে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। সঞ্জয় বলেন, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা রয়েছে আমি মিথ্যা বলছি না। পাল্টা বিচারক বলেন, আমি সব পক্ষের সাক্ষ্য প্রমাণ পরীক্ষা করেছি, যুক্তিও শুনেছি। তারপরই আমি তোমাকে দোষী মনে করেছি। তুমি অপরাধী। তোমাকে শাস্তি পেতে হবে।’ সেটা শুনে সঞ্জয় বলেন, ‘‘আমি কিছু করিনি। আমার কথাটা এক বার শুনুন।’’ বিচারক রায় ঘোষণা করে বলে দেন, ‘‘সোমবার আপনার কথা শুনব।’’
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়
রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নির্যাতিতার বাবা। কাঁদতে কাঁদতেই বিচারককে ধন্যবাদ জানান নির্যাতিতার বাবা। তিনি বিচারকের উদ্দেশে বলেন, আপনার উপর যে আস্থা ছিল, তার পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছেন। আমাদের বিশ্বাসকে সম্মান করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ বিচারক দাস প্রত্যুত্তরে বলেন, সোমবার আসুন।
দেখুন ভিডিও