ওয়েবডেস্ক: কার্শিয়াঙে (Kurseong) টয় ট্রেনের (Toy Train) ধাক্কায় আহত ছাত্রীর মৃত্যু হল আজ। সোমবার দুর্ঘটনা ঘটে। ইয়ার পড (Ear Pod) কানে দিয়ে চলতে থাকায় টয় ট্রেনের (Kurseong Toy Train Incident) আওয়াজ শুনতেই পায়নি দুইবোন। মৃতের নাম রোশনি রাই (Roshni Rai)। ১৫ বছরের রোশনি মকাইবাড়ি (Makaibari) এলাকার বাসিন্দা ছিল। টয় ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয়েছে তার দিদি প্রতীক্ষা রাই।
মেয়ের মৃত্যতে আজ ছাত্রীর ছবি কার্শিয়াং স্টেশনে বসিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয়রা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা কার্শিয়াং জুড়ে। রোশনির পরিবারের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হয় জিটিএর চিফ এগজিকিউটিভ অনিত থাপা ও ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার (Indian Gorkha Republican Front) সদস্যরা। ট্রেন চালকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন তারা।
আরও পড়ুন: অবস্থার অবনতি, কার্শিয়াঙে টয় ট্রেনের ধাক্কায় আহত ছাত্রী ভর্তি হাসপাতালে
জানা গেছে, সোমবার সকালে ওষুধ কিনতে বেরিয়েছিল দুই বোন। কার্শিয়াং বাজারের কাছে রেললাইন পার হওয়ার সময় পেছন থেকে তাদের ধাক্কা মারে টয়ট্রেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ট্রেনটি হুইসেল না দিয়েই হঠাৎ চলে আসে। গুরুতর আহত অবস্থায় রোশনি ও তার দিদিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে তাঁকে শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Siliguri Medical College and Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়।
মেয়ের মৃত্যুতে রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলে রোশনির পরিবার।
মৃতার দাদা বিবেক শর্মা বলেন, কেন চালক সতর্ক হলেন না? কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন তিনি।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের ডিরেক্টর রিশভ চৌধুরীর (Darjeeling Himalayan Railway Director Rishabh Chowdhury) দাবি, রেলের কোনও গাফিলতি ছিল না। দুজনের কানে হেড ফোন লাগানো ছিল। তাই লোকো পাইলটের হুইসেল তারা শুনতে পায়নি। টয়ট্রেন ধীরে চলে। তাই সাধারণ মানুষ তাতে অতটা বেশি গুরুত্ব দিতে চান না।
দেখুন অন্য খবর: