ওয়েবডেস্ক- নদীর বালি উত্তোলনে (River Sand Mining) বেআইনি কার্যকলাপ (Illegal activity) বন্ধের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) । শীর্ষ আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়ে দিয়েছে, নদীর পরিপূরণ ক্ষমতা সম্পর্কিত সমীক্ষা রিপোর্ট ছাড়া বালি উত্তোলনের জন্য পরিবেশের ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না। রায় সুপ্রিম কোর্টের। তুলে নেওয়া বালি নদীর প্রাকৃতিকভাবে পূরণ হওয়ার ক্ষমতা সম্পর্কিত জেলা পর্যায়ের সমীক্ষা অর্থাৎ ডিস্ট্রিক্ট সার্ভে রিপোর্ট ছাড়া পরিবেশের ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না বলে রায় বিচারপতি পিএস নরসিংহ ও বিচারপতি এ এস চান্দুরকারের।
সম্পর্কিত মামলায় পেশ হওয়া ডিএসআর জালিয়াতি করে বানানো হলেও তা ত্রুটিপূর্ণ। কারণ সেখানে নদীর পরিপূরণ ক্ষমতা সম্পর্কিত তথ্য নেই। যা আইন অনুযায়ী বেঠিক।
কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের তিনটি ব্লকে নদীর বালি তোলায় পরিবেশের ছাড়পত্র দানের আবেদন খারিজ করেছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল (National Green Tribunal) । সেই রায়ের বিরুদ্ধে হওয়া আবেদনে অভিমত সুপ্রিম কোর্টের।
গাছ কাটার আবেদন মঞ্জুর করার আগে যেমন বন সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী দেখতে হয়, সেখানে গাছের বৃদ্ধির হার কেমন। কারণ, গাছ কাটার পরিমাণ কোনভাবেই গাছের সংখ্যা বৃদ্ধির চেয়ে বেশি হতে দেওয়া হয় না। তেমনি নদী খাতের ভারসাম্য বজায় রাখার স্বার্থে সেই জলধারার পরিপূরণ ক্ষমতার সমীক্ষা বাধ্যতামূলক। নির্মাণ ক্ষেত্রের জন্য উপযুক্ত মানের বালির চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ধরনের বালি ২০৫০ সালের মধ্যে ফুরিয়ে যাবে। তাছাড়া যথেচ্ছ ভাবে নদীর বালি তোলা হলে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়া অবশ্যম্ভাবী।
কারণ এর ফলে নদী খাত প্রশস্ত হয়, নদীর গভীরতা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, পাড় ভাঙে। ফলে বন্যা প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু সহজলভ্যতার জন্য নদীর বালি যথেচ্ছভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে। অভিমত সহ বৈজ্ঞানিকভাবে তৈরি ডিএসআর রিপোর্ট ছাড়া নদীর বালি উত্তোলন বিরোধী রায় আদালতের।
উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের কেন্দ্রশাসিত প্রশাসন সহ ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এই আবেদন করেছিল।
দেখুন আরও খবর-