কলকাতা: চিরসবুজ সুন্দরী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। তাঁর ব্যক্তিত্ব ও সাজ সব সময় আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। তাঁর রূপের ছটায় সবার চোখেই ধাঁধা লাগে। কিন্তু তাঁর গ্ল্যামার দেখে কোনওভাবেই বোঝার উপায় নেই যে, এই অভিনেত্রী ইতিমধ্য়েই ৪০ পার করেছেন।অভিনেত্রীর সৌন্দর্যের জন্যে সবাই যেমন তাঁর প্রশংসা করেন, একইভাবে তাঁর অকপট ও নির্ভীক ব্যক্তিত্বের প্রেমেও পড়েন তাঁর অনুরাগীরা। আর স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের শাড়ির কালেকশন দেখে তো বারবার মুগ্ধ হওয়া ছাড়া আর কোনও উপায়ই নেই। সুতির হোক বা ভারী বেনারসি, স্বস্তিকার অঙ্গে যেন নতুন সংজ্ঞা পায় যে কোনও শাড়ি। স্বস্তিকা (Swastika Mukherje Four Different Look) ধরা দিলেন চার ভিন্ন সাজে।
স্বস্তিকা শাড়ি পরতে ভালবাসেন। সেই শাড়িতেই দিদিকে সাজালেন বোন অজপা মুখোপাধ্যায়। শাড়ি পরার ধরনে যোগ করলে নাটকীয়তা। স্বস্তিকার সাজে উঠে এল দেশের চার প্রদেশ। লালপেড়ে সাদা শাড়ি। সাদা জমিতে লাল ডোরা। বাংলার আটপৌরে কায়দায় এই শাড়ি জড়িয়েছেন স্বস্তিকা। গাঢ় বেগনি রঙের জমকালো ব্লাউজ়। তার সঙ্গে নাকছাবি, গলায় হার, কানে দুল ও হাতে ভারী বালার সঙ্গে শাঁখা-পলা। সিঁথিতে সিঁদুর। হাতে হাতপাখা ও মাথায় ফুলের মালা।
পরনে লালপেড়ে নীল শাড়ি। বাঁ হাতে ও গলায় ভারী গয়নার সমারোহ। ডান হাতে বাজু। নাকে টানা নথ। মাথার ভরাট খোঁপায় জড়ানো ফুলের মালা। সিঁথি জুড়ে জ্বলজ্বল করছে সিঁদুর। কপাল-ভরা চন্দনের আঁকিবুকি। আলো-আঁধারি ঘরে স্বস্তিকার এই উজ্জ্বল বেশ তুলে ধরে নগর বারাণসীর সাবেকি সাজ। পরবর্তী সাজ মহারাষ্ট্রের। মরাঠি কায়দায় কমলা রঙের পাড়ে সবুজ রঙের জমি। এমনই একটি পৈঠানি সিল্ক নিজেদের সম্ভার থেকে বেছে নিয়েছেন স্বস্তিকা। অন্ধ্রপ্রদেশে এই শাড়ি পরার ধরনকে বলা হয় ‘গোচি কট্টু’। কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত সম্প্রদায়ের মহিলারা সাধারণত এই ভাবে শাড়ি পরতেন। শাড়ি পরার এই ধরন পছন্দ স্বস্তিকারও। দক্ষিণ ভারতের আমেজ আনতে কলাপাতা দিয়ে সেজেছে ‘ব্যাকগ্রাউন্ড’।