ওয়েবডেস্ক- ভারত সফরে (India Visit) তালিবানি বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি (Taliban Foreign Minister Amir Khan Muttaqi ) । সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে চলতি মাসে তিনি ভারতে আসবেন। আমেরিকা সেনাকে হঠিয়ে ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর মুত্তাকি হলেন প্রথম কোনও শীর্ষস্থানীয় তালিবানি নেতা যিনি ভারত সফরে আসছেন।
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কমিটি সাময়িকভাবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পর ভারত সফরে আসছেন তালিবানের বিদেশমন্ত্রী। শনিবার বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির ভারত সফর নিশ্চিত করেছে কাবুলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (Kabul Foreign Ministry। আগামী ৭ অক্টোবরে মস্কো শীর্ষ সম্মেলন (Moscow summit) । সেখানে চীন, ভারত, ইরান ও এশিয়ার দেশগুলির প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। এই সম্মেলন শেষেই ভারতে আসবেন মুত্তাকি।
তালিবান কর্তৃপক্ষ আফগানিস্তানের ইন্টারনেট এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবা বন্ধের কয়েকদিন পরেই মুত্তাকির ভারত সফরের ঘোষণা। ৪৮ ঘণ্টা নেটওয়ার্ক পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে কেন এই ঘোষণা, সে সম্পর্কে তালিবান সরকার কিছু স্পষ্ট করেনি।
রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা মুত্তাকির ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি দিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কমিটি ৯ থেকে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে তাঁকে নয়াদিল্লি সফরের অনুমোদন দিয়েছে।
গত এপ্রিলেই ভারতের পয়েন্ট পার্সন আনন্দ প্রকাশ কাবুল সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন- জম্মু ও কাশ্মীরে রহস্যময় পাক ড্রোন!
কঠোরভাবে ইসলামি অনুশাসন মেনে চলা তালিবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। একমাত্র স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন আমেরিকান ও ব্রিটিশ বন্দীকে মুক্তি দেওয়া তালিবার সরকার জানিয়েছিল যে তারা মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর বিরুদ্ধে ২০ বছরের যুদ্ধ সত্ত্বেও অন্যান্য দেশের সাথে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়। তবে এখনও বহু দেশ আফগানিস্তান ভ্রমণের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, অপারেশন সিঁদুরের পরে ভারতে সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথন হয়েছিল মুত্তাকির। সেটাই ছিল দুদেশের মধ্যে প্রথম ফোনে বার্তালাপ। এর আগে পহেলগামে জঙ্গি হানা নিয়েও কড়া নিন্দা জানিয়েছিল তালিবান সরকার। সেইসময় তালিবান সরকারে প্রশংসা করেছিল ভারত। ভারত এবং আফগানিস্তানের মানুষের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে তা থাকবে বলেও জানিয়েছিলেন মুত্তাকি। পাশাপাশি আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের পরেও পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। খাবার, ওষুধ পাঠিয়ে সহযোগিতা করা হয়। অপর দিকে কাবুল সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় পাকিস্তান। তবে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি তালিবান সরকার।
দেখুন আরও খবর-