হাড়োয়া: রিলস বানানোর জন্য ডেকে পুলিশকর্মীর নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া থানা এলাকায়৷ অভিযোগের তির একজন ইউটিউবার ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ, তাঁরা প্রথমে নির্যাতিতার গোপন ছবি তোলে৷ তারপর সেই ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে ধর্ষণ করে ওই নাবালিকাকে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ইউটিউবার অরবিন্দ মণ্ডল ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। এই ঘটনায় পরোক্ষভাবে জড়িত অরবিন্দর ছেলে। ঘটনার পর থেকে তাঁরা বেপাত্তা। পলাতক দু’জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পনেরোর ওই নাবালিকার বাবা কলকাতা পুলিশে কর্মরত। নির্যাতিতার বাড়ি হাড়োয়ার মোহনপুরে। ওই এলাকারই বাসিন্দা অভিযুক্ত ইউটিউবার অরবিন্দ মণ্ডল। নাবালিকা মেয়েটি স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। নাচ ও গানে সে যথেষ্ট পারদর্শী। নাচ-গানের ভিডিয়ো বানানোর নাম করে কয়েকমাস আগে তাঁকে ডেকেছিলেন ওই ইউটিউবার এবং তাঁর নাবালক ছেলে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুরকাণ্ডে ধৃতদের দিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করাল পুলিশ
অভিযোগ, ওই নাবালিকাকে ফাঁকা বাড়িতে প্রথমে ধর্ষণ করেন ইউটিউবার অরবিন্দ। সেকথা তাঁর ছেলেকে জানায় মেয়েটি৷ সে নাবালিকা মেয়েটিকে বলে, ‘নাচ-গানের কনটেন্ট করতে গেলে এগুলো হয়েই থাকে’। অভিযোগ উঠেছে, তারই মধ্যে বিয়ে করার নামে ওই নাবালিকার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেয় ওই নাবালক৷ এর পর সে-ও মেয়েটিকে ধর্ষণ করে৷ কাউকে কিছু জানালে নির্যাতিতার গোপন ছবি ও ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে অভিযুক্তরা ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এর পরেই নির্যাতিতার পরিবার দ্বারস্থ হয় পুলিশের। অভিযোগও দায়ের করা হয় হাড়োয়া থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার সকালে পুলিশ ইউটিউবার অরবিন্দ মণ্ডল ও তার ছেলেকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত দু’জনেরই কঠোর শাস্তি চেয়ে সরব হয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।
দেখুন খবর: