আরামবাগ: রাস্তা দাও, ভোট নাও। আর রাস্তা না হলে ভোটও হবে না। আর ভোট চাইতে এলে ঠ্যাং ভেঙে দেব। এমনই হুমকি দিলেন স্থানীয়রা। বিশেষত রাস্তার জন্য পথে নেমে এমনই নিদান দিলেন গ্রামের একাধিক মহিলা।
পুরশুড়ার জঙ্গল পাড়া। গ্রামের রাস্তার বেহাল দশা। দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর অর্থাৎ সেই বামেদের আমল থেকেই এই রাস্তা বেহাল বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি বা বিধায়ক কেউই এই গ্রামে পা দেন নি। অথচ, নিজেদের স্বার্থ গুছিয়ে নিয়ে তোষণ করেছেন। যে যার এলাকার ও নিজের উন্নয়ন করেছেন। অথচ এই গ্রামের মানুষ জন কতটা বিপদে আছেন তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। রাস্তার হাল এমনই, যার জেরে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তাই তাদের দাবি, অবিলম্বে এই রাস্তার হাল ফেরাতে হবে।এই দাবিতে ব্যাপক ক্ষোভ বিক্ষোভ আর হয়। আর তা সামাল দিতে ছুটে আসেন পুরশুড়া থানার পুলিশ।তারা আশ্বাস দেয় যে এই গ্রামের রাস্তার কাজ করা হবে।পুলিশের আশ্বাসে গ্রামের মহিলারা তাদের বিক্ষোভ ও অবরোধ তুলে নেয়।তবে রাস্তা না হলে যে তারা সকলেই ভোট দিতে যাবেন না তা বলতে ভোলেননি।
আরও পড়ুন: জেলায় জেলায় SIR ফর্ম হাতে ভোটারদের বাড়িতে বিএলওরা
অভিযোগ, ভোটের সময়ে প্রার্থীরা আসেন। হাত জোড় করে ভোট চান আর প্রতিশ্রুতি দেন রাস্তাটা ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর আর দেখা মেলে না তাদের। আর তাতেই এবার ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। এদিন দলমত নির্বিশেষে তারা পথে নেমে একযোগে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। তাদের বক্তব্য, আগে রাস্তা দাও। তার পর গ্রামে এসো। না হলে কপালে দুঃখ আছে। তা সে যত বড়ই নেতা বা নেত্রী হোননা কেনো, কাউকেই আর ফিরে যেতে দেবো না গ্রাম থেকে।
দেখুন অন্য খবর:


                                    




