ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election) নির্ধারিত সময়ে হবে তো?—এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বিজেপি-র (BJP) অন্দরমহলে। হিসেব অনুযায়ী আগামী ছয় মাসের মধ্যেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। ফেব্রুয়ারির শেষে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) দিন ঘোষণা করতে পারে বলেই রাজনৈতিক মহলের অনুমান। কিন্তু ভোটের ঠিক আগে বিজেপির ভিতরে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা এবং নেতৃত্ব নিয়ে বিভ্রান্তি। কেন? চলুন হিসেবটা একটু মেলানো যাক।
তিন মাস আগে শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে বসেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি নতুন রাজ্য কমিটি বা পদাধিকারীদের তালিকা ঘোষণা করেননি। সাধারণত নতুন সভাপতি এলে দলে ব্যাপক রদবদল হয়, নতুন মুখ উঠে আসে নেতৃত্বে। কিন্তু এবার ছবিটা অন্যরকম। দলীয় সূত্রে খবর, সভাপতির ঘনিষ্ঠ একাংশ চাইছেন—সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পরিবর্তন না হলে নতুন কমিটি গঠন করা উচিত নয়। ফলে দলের অন্দরে কার্যত এক প্রশাসনিক অচলাবস্থা যে তৈরি হয়েছে, তা বাইরে থেকেও আন্দাজ করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: BJP-র অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! পদত্যাগ একের পর এক নেতা, কর্মীর
এমন অবস্থায় অনেক কর্মী ও জেলা নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। তাঁদের মনে জমছে শঙ্কা—ভোটের আর কয়েকমাস বাকি, কিন্তু এখনও দলীয় ব্লুপ্রিন্টই তৈরি হল না। এখন প্রশ্ন একটাই – রাজ্যজুড়ে সংগঠনগত কাজ কে করবে? বিজেপি এমনিতে নেতৃত্বনির্ভর দল বলে পরিচিত, তাই সভাপতি ছাড়া অন্য নেতাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। অনেকে আশঙ্কা করছেন, এত দেরিতে পরিবর্তন এলে সংগঠন কার্যত লাটে উঠবে।
এর মাঝেই আরও এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, এপ্রিলের মধ্যে যদি নির্বাচন ঘোষণা না হয়, তাহলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই এই মন্তব্যে জল্পনা আরও ঘনীভূত হয়েছে—তাহলে কি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অন্য কোনও পরিকল্পনা আছে? বিজেপি কি ইচ্ছে করেই ‘ধীরে চলো’ নীতিতে চলছে?
এছাড়া এসআইআর (SIR) নিয়ে কমিশনের নির্দেশও রাজ্য রাজনীতিতে নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। কমিশন জানিয়েছে, এসআইআর ছাড়া ভোট সম্ভব নয়। যদি এই প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়, তাহলে নির্বাচন স্থগিত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, এই জটিলতাকে বিজেপি হয়তো রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে।
দেখুন আরও খবর: