বর্ধমান: এবার নতুন কৌশলে প্রতারণার (Fraud) শিকার হলেন লটারি বিক্রেতা। কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য আধার কার্ড (Adhaar Card) নিয়ে দু’টি ভিন্ন জায়গার গাড়ি শোরুমে গাড়ি নিয়ে বেপাত্তা প্রতারক। দিন আনা দিন খাওয়া বয়স্ক মানুষকে এবার ইএমআই-এর চাপ দিচ্ছে ব্যাঙ্ক। প্রতারকদের কাছে ফেঁসে যাওয়া লটারি বিক্রেতা শংকর বসুর বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার (Purba Bardhaman) কালনার কালিনগর পাড়ায়।
ওই লটারি বিক্রেতা কালনা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। ঘুরে ঘুরে লটারি টিকিট বিক্রি করার সময় তার সঙ্গে লালচাঁদ শেখ নামে এক লটারির টিকিট ক্রেতার সঙ্গে পরিচয় হয়। লালচাঁদ শেখ মাঝে মাঝে বেশ কিছু লটারি টিকিট কিনে তার কাছে বেশ আস্থাভাজন হয়ে ওঠে। শেষে একটা কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ফেলে লটারি বিক্রেতার শংকর বসুর আধার কার্ড, ভোটার কার্ড হাতিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে ঘুরে বেড়াচ্ছে বাঘ? হাওড়ায় শুরু গ্রাম-পাহারা
লটারি বিক্রেতার আধার কার্ড, ভোটার কার্ডকে সম্বল করে প্রতারক তাঁকে কালনা ও পান্ডুয়ার দুটি বাইকের শোরুমে নিয়ে যায়। গত বছরের অক্টোবর মাসের ৮ এবং ২৯ তারিখে ওই শোরুমে নিয়ে গিয়ে প্রতারক শংকর বসুকে বিভিন্ন কাগজে সই করায়। তারপর সেখান থেকে দুটি স্কুটি নিয়ে বেপাত্তা হয়ে যায় প্রতারক। এরপর জানুয়ারি মাসে শংকর বসুর বাড়িতে দুই ব্যাঙ্ক থেকে লোকজন আসে। ব্যাংকের লোকজনরা শংকর বসকে বলে, হয় কিস্তি দিন না হলে স্কুটি ফেরত দিন।
মহাফাঁপরে পড়ে শংকর বসু কালনা থানার (Kalna Police Station) দ্বারস্থ হয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। শংকর বসু জানান, “আমার অভিযোগের কোন রিসিপ্ট দেয়নি থানা। তবে ব্যাপারটা ওনারা খতিয়ে দেখবেন বলেছেন।” প্রতারক লালচাঁদ শেখের বাড়ি পূর্বস্থলী থানার মাজিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের তামাঘাটা গ্রামে বলে জানিয়েছেন শংকর বসু। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
দেখুন আরও খবর: