ওয়েব ডেস্ক: ঘন কুয়াশা কারণে নামেনি কপ্টার। অগত্যা কলকাতা থেকেই ভার্চুয়ালি তাহেরপুরের সভায় (Taherpur Rally) ভাষণ দিলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এসআইআর (SIR) শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর এই সভায় যে মতুয়াদের (Matua) জন্য কিছু বলা হবে, তা আগে থেকেই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু ভার্চুয়াল ভাষণে রাজ্যের এই বিশেষ জনগোষ্ঠীর জন্য সেভাবে কিছুই বলতে শোনা গেল না মোদিকে। বক্তব্যে একবার করে হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ ঠাকুর এবং বড়মার নাম নিয়ে তাঁদের প্রণাম জানিয়েই অন্য প্রসঙ্গে ঢুকে পড়েন তিনি। সেই কারণেই এবার প্রশ্ন উঠছে যে, মোদির এই ভাষণে কি মন গলল মতুয়াদের?
শনিবার তাহেরপুরের সভায় ভার্চুয়াল ভাষণের শুরুতে ‘জয় নিতাই’ বলে মতুয়াদের কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, “সমাজকল্যাণের এই নৌকাকে মতুয়ারা আগে নিয়ে গিয়েছেন। হরিচাঁদ ঠাকুর কর্মের মর্ম বুঝিয়েছেন। গুরুচাঁদ ঠাকুর কলম ধরিয়েছেন। বড়মা মাতৃত্ব বর্ষণ করেছেন। সকলকে প্রণাম।” এছাড়া নদিয়া-বন্দনায় তিনি বলেন, “নদিয়া সেই ভূমি, যেখানে প্রেম, করুণা, ভক্তির রূপ হিসাবে চৈতন্যদেবের জন্ম হয়েছে। নদিয়ার গ্রামে গ্রামে কীর্তনের সুর উঠত, ঐক্যের সুর বাজত।” মতুয়া প্রসঙ্গে আর সেভাবে কিছুই বলেননি তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সফরে ‘প্ল্যান -B’ ছিল? খতিয়ে দেখছে এসপিজি, দেখুন বিগ আপডেট
এদিকে তথ্য বলছে, পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ ও রানাঘাট এলাকায় ‘নন-ম্যাপড’ বা ম্যাপিংবিহীন ভোটারের সংখ্যা সবথেকে বেশি। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের কোনো ম্যাপিং নেই। এর মাঝে আবার বিজেপির মতুয়া নেতা, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর সরাসরি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, এই প্রক্রিয়ার ফলে বহু মতুয়া ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে। তাঁর এই স্বীকারোক্তি মতুয়া সমাজে এক দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে।
যে বিজেপি নাগরিকত্ব দেওয়ার গ্যারান্টি দিয়েছিল, তাঁদেরই নেতার মুখ থেকে এখন ভোটাধিকার হারানোর কথা শুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সেই কারণেই মোদির মুখ থেকে কিছু আশ্বাস পাওয়ার আশায় ছিল মতুয়া সমাজ। কিন্তু শনিবার সেই আশাতেও জল ঢেলে দিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রীই।
দেখুন আরও খবর:







