Thursday, September 4, 2025
HomeScrollFourth Pillar | ভোট চোর, গদ্দি ছোড়

Fourth Pillar | ভোট চোর, গদ্দি ছোড়

একটা নির্দিষ্ট পোলিং বুথে এক বছরে বা অল্প সময়ে ৯০ শতাংশের বেশি ভোটারের হঠাৎ মৃত্যু কোনওভাবেই বাস্তবসম্মত হতে পারে না

গতকাল পাটনাতে শেষ হল প্রথম পর্বের প্রচার অভিযানের, রাস্তা জুড়ে বিহারের মহাগঠবন্ধনের এই র‍্যালিতে মানুষ উপচে পড়েছিল। আর সত্যিই এই বিহারের বিশেষ ভোটার তালিকা রিভিউয়ের নামে যা চলছে তা দেশের সমস্ত বিরোধীদের এক জায়গাতে এনে দিয়েছে। খেয়াল করে দেখুন আপ কিন্তু বিহারে নির্বাচনে নামার কথা বলেনি, তৃণমূলও না। এই প্রচার অভিযানে দক্ষিণের ডিএমকে থেকে, উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী দল থেকে তৃণমূল, প্রত্যেকেই কেবল সমর্থন করেনি, হাজির থেকেছে। হ্যাঁ, গতকালও এক মঞ্চেই ছিলেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবি, তৃণমূলের ইউসুফ পাঠান, ছিলেন তো মহাগঠবন্ধনের মাথারা, রাহুল গান্ধী, তেজস্বী যাদব, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বা অ্যানি রাজার মতো নেতানেত্রীরা। কিন্তু এই নির্বাচন তালিকা পরিমার্জনের নামে যা চলছে তা নিয়ে বেশ কিছু কথা বলার আছে, আজ সেই কথাগুলোই বলব। আসলে বিহারে ভোটার তালিকাতে নাম কাটার কায়দাগুলোই বলে দেয়, ডাল মে বহত কুছ কালা হ্যায়, ভালো রকমের গন্ডগোল আছে এই পদ্ধতিতে। বিহারের আসন্ন নির্বাচনের আগেই ভোটার তালিকা থেকে প্রায় দু’ কোটি নাম বাদ পড়ার যে খবর বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে, তা কেবল একটা পরিসংখ্যান নয়। এটা আদতে গণতন্ত্রের মূল ভিতকে নড়িয়ে দেওয়ার মতো এক সাংঘাতিক ব্যাপার। ভোটার তালিকা থেকে যথেচ্ছভাবে নাম বাদ পড়ার এই আশঙ্কা কেবল নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে না, বরং সাধারণ মানুষের ভোটাধিকারের মতো মৌলিক অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়।

ভারতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI) ভোটার তালিকার তথাকথিত ‘শুদ্ধতা’ নিশ্চিত করার জন্য এক বিশেষ ও নিবিড় সংশোধন (Special Intensive Revision – SIR) এর কাজ শুরু করেছিল। তাদের ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল খুব পরিষ্কার: যোগ্য সব নাগরিকের নাম তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং মৃত, স্থানান্তরিত বা অনুপস্থিত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া, যাতে করে এক নির্ভুল ত্রুটিমুক্ত তালিকা তৈরি হয়। কাগজে-কলমে তো এটা সত্যিই এক মহান উদ্দেশ্য, যা এক সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য, এরকমই মনে হবে। কিন্তু, এই প্রক্রিয়া চলাকালীন, বিভিন্ন দিক থেকে, এমনকী নির্বাচন কমিশনের নিজেদেরই প্রকাশিত যেসব ডেটা বা তথ্য উঠে এসেছে, তা এই উদ্দেশ্য নিয়েই গভীর সন্দেহ তৈরি করেছে কেবল নয়, মনে হচ্ছে এই কাজ বেশ কিছুদিনের এক বড়সড় পরিকল্পনার ফসল। আসুন দেখা যাক, নাম বাদ দেওয়ার অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিক পদ্ধতিগুলোই কীভাবে প্রমাণ করে যে, এই পুরো প্রক্রিয়াটার মধ্যে একটা বড় রকমের গন্ডগোল লুকিয়ে আছে।

হ্যাঁ, ডেটা কথা বলে, পরিসংখ্যান কথা বলে। নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত ডেটাগুলো অনেক তথ্য আমাদের সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে। প্রতিটা সংখ্যা, প্রতিটা শতাংশ, যেন এক একটা প্রশ্ন হয়ে আমাদের সামনে দাঁড়াচ্ছে। এই ডেটাগুলো সাধারণ জনসংখ্যাগত বা সামাজিক প্রবণতার সঙ্গে কোনওভাবেই মেলে না, যা বলে দেয় যে এই প্রক্রিয়াটা আসলে কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ নয়, বরং তার চেয়েও বেশি কিছু। প্রথম তথ্য হল অস্বাভাবিক মৃত্যুর হার: যার থেকে প্রশ্ন উঠবেই মরা মানুষ কি ভোট দেয়? ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল ভোটারের মৃত্যু। এটা একটা স্বাভাবিক এবং প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া। কিন্তু বিহারের কিছু পোলিং স্টেশনে মৃত্যুর কারণ দেখিয়ে নাম বাদ দেওয়ার হার এতটাই অস্বাভাবিক যে তা যে কোনও স্বাভাবিক পরিসংখ্যানকে ছাপিয়ে গেছে, গোটা ব্যাপারটা এক তামাশা মনে হবে। দ্য হিন্দু’র ডেটা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৭,২১৬টারও বেশি পোলিং স্টেশনে মৃতের সংখ্যা এতটাই বেশি যে তা স্বাভাবিক জনসংখ্যার প্যাটার্নের সঙ্গে মেলে না। ভাগলপুরের রাজকীয় পলিটেকনিক টেক্সটাইল টেকনোলজি কেন্দ্রে ১৬৬টা নামের মধ্যে ১৬৫টাই ‘মৃত’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা প্রায় ৯৯.৪ শতাংশ। মানে একটা এলাকার সব ভোটার মরে ভূত হয়ে গেছে? একইভাবে, সারণের মনঝি এলাকার একটা কেন্দ্রে ১৯১টা নাম থেকে ১৬২টা (৮৪.৮ শতাংশ) এবং কিষানগঞ্জের ঢোবিনিয়াতে ১৭১টা নাম থেকে ১৫৮টা (৯২.৪ শতাংশ) নাম ‘মৃত’ হিসেবে বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ এইসব জায়গাতে কোনও মারি-মড়কের খবরও নেই। তাহলে এক সঙ্গে এত লোকজন মারা গেল কী করে?

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | চাপে পড়ে বাপ বলছেন মোদিজি

এই ধরনের সংখ্যাগুলো বিশ্বাস করা প্রায় অসম্ভব। একটা নির্দিষ্ট পোলিং বুথে এক বছরে বা অল্প সময়ে ৯০ শতাংশের বেশি ভোটারের হঠাৎ মৃত্যু কোনওভাবেই বাস্তবসম্মত হতে পারে না। যখন কোনও কোনও বুথে ১০০ শতাংশ ভোটারকে ‘মৃত’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, তখন এটা তো কেবল এক সাধারণ প্রশাসনিক ভুল হতে পারে না বরং এক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতির দিকেই ইশারা করে। হয়তো বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার যাচাইয়ের যে কঠোর নির্দেশ ছিল, তা সঠিকভাবে পালন করা হয়নি, বা কোনও সহজ পথে দ্রুত নাম বাদ দেওয়ার জন্য এই ‘মৃত্যু’র কারণটাকে একটা সাধারণ উপায় হিসেবেই বেছে নেওয়া হয়েছে, যান্ত্রিক টেমপ্লেট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, বা কারও নির্দেশে এক এলাকার পুরো ভোটারদের গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। জ্যান্ত মানুষকে ‘মরা’ বানিয়ে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া গণতন্ত্রের মৌলিক ভিত্তিকেই দুর্বল করে দেয়। দ্বিতীয় বিষয় ‘অনুপস্থিত’ ভোটারের তালিকা: এবং প্রশ্ন কোথায় গেল এই মানুষগুলো? মৃত্যুর মতোই, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আরেকটা বৈধ কারণ হল স্থান পরিবর্তন বা ‘স্থায়ীভাবে অনুপস্থিত’ থাকা। তবে এই ক্ষেত্রেও কিছু অদ্ভুত প্যাটার্ন দেখা গেছে। ৫,০৮৪টা পোলিং স্টেশনে ৫০ জনেরও বেশি ভোটারকে ‘অনুপস্থিত’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। হাজিপুরের সামুদাইক ভবন চৌহাট্টা কেন্দ্রে ৩৩৯ জন ভোটারকে ‘অনুপস্থিত’ দেখানো হয়েছে, যাদের গড় বয়স ছিল ৪১.৯ বছর। এই বিপুল সংখ্যক ভোটারকে তাদের অনুপস্থিতির কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে।

অথচ, নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী, নাম বাদ দেওয়ার আগে নোটিস জারি করার এবং যথাযথ তদন্ত করার কথা বলা হয়েছে। এই ধরনের ব্যাপক সংখ্যক নাম বাদ পড়া প্রমাণ করে যে সেই নিয়মগুলো হয়তো পুরোপুরি মানা হয়নি। অনুপস্থিত ভোটারদের মধ্যে অনেকেই সাময়িকভাবে অন্য জায়গায় থাকতে পারেন। কিন্তু তাদের নাম বাদ দেওয়ার ফলে তারা নিজেদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন, যা এক ধরনের ভোট কেড়ে নেওয়ার ছক বলে মনে হচ্ছে। পরের বিষয়টা হল স্থানান্তরের, মানে এক জায়গা থেকে এক জায়গাতে চলে যাওয়ার এক অদ্ভুত প্যাটার্ন: কেন শুধু মহিলারাই ‘স্থানান্তরিত’ হচ্ছেন? ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটার আর একটা বড় কারণ হল ‘স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত’ (permanently shifted) হওয়া। এই ক্ষেত্রে যে ডেটা সামনে এসেছে, তা আরও বেশি উদ্বেগজনক। ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, এই ক্ষেত্রে বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা পুরুষদের চেয়ে অনেক বেশি। কিছু ক্ষেত্রে এই হার ৯০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। গোপালগঞ্জের পঞ্চায়েত ভবন সিকটিয়া কেন্দ্রে ৮০ জন স্থানান্তরিত ভোটারের ৮০ জনই নারী, যা ১০০ শতাংশ, মানে সব মহিলারা গায়েব? একইভাবে, একই জেলার রামরতন শাহি কেন্দ্রে ৭১ জন স্থানান্তরিত ভোটারের মধ্যে ৭০ জনই নারী, যা ৯৮.৬ শতাংশ।

এই প্রবণতা স্বাভাবিক মাইগ্রেশন ডেটার সঙ্গে খাপ খায় না। ২০১১ সালের আদমসুমারি অনুযায়ী, পুরুষরা কাজের জন্য অনেক বেশি বাইরে যায়, যেখানে নারীরা সাধারণত বিয়ের কারণে স্থানান্তরিত হন। কিন্তু এই ডেটা পুরুষদের থেকে নারীদের ‘স্থানান্তরিত’ হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি দেখাছে, কেন? এটা বলে দেয় যে ভোটারদের যথেচ্ছভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। কারা এই প্রক্রিয়ার সবচেয়ে বেশি শিকার? মজার ব্যাপার হল এই অস্বাভাবিক পদ্ধতিগুলো কিছু নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে, যা এই পুরো ব্যাপারটার নিরপেক্ষতা নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলবে। বিহারের ৩৮টি জেলার মধ্যে ৩৭টিতেই পুরুষদের চেয়ে বেশি সংখ্যায় মহিলাদের নাম বাদ পড়েছে। তথ্য বলছে এই বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়ায় প্রায় ৭ লাখ বেশি নারী ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। ডেটা বিশ্লেষণ থেকে আরও জানা যায় যে, যেসব এলাকায় মুসলিম জনসংখ্যা বেশি, সেখানে নাম বাদ পড়ার হার অস্বাভাবিকভাবে বেশি। সীমান্ত জেলা যেমন পূর্ণিয়া, কিষানগঞ্জ এবং চম্পারণে অস্বাভাবিকতাগুলো বেশি করে চোখে পড়েছে। জেহানাবাদের জাফরপুর এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন যে, প্রায় ২০০ জন ভোটারের নাম, যাদের বেশিরভাগই মুসলিম, তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।  ১৮-২৯ বছর বয়সি তরুণ-তরুণীদের নাম বাদ পড়ার হার বিভিন্ন বিভাগে, যেমন ‘স্থানান্তরিত’ এবং ‘মৃত’, অস্বাভাবিকভাবে বেশি দেখা গেছে। দেশের জনসংখ্যার এক বড় অংশ এই যুবসমাজ। তাদের নাম কেন বাদ পড়ছে? তারা আর জুমলা শুনতে রাজি নয় বলে? তারা প্রশ্ন করছে বলে? নির্বাচন কমিশন বারবার জোর দিয়ে বলেছে যে এই বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়াটা সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং এর উদ্দেশ্য ভোটার তালিকার কোট আনকোট শুদ্ধতা বজায় রাখা। তাঁরা বলেছেন যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তায় বুথ লেভেল এজেন্ট (BLA) নিয়োগ করে প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করা হয়েছে।

কিন্তু গ্রাউন্ড লেভেলের ডেটা সম্পূর্ণ আলাদা একটা গল্প বলছে। কংগ্রেসের নেতা পবন খেরা দাবি করেছেন যে তারা ৮৯ লক্ষ অনিয়মের অভিযোগ জমা দিয়েছেন, যা নির্বাচন কমিশন অস্বীকার করেছে। একই সময়ে, সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ এই প্রক্রিয়ার দুর্বলতাকেই তুলে ধরছে। বিরোধী দল এবং সিভিল সোসাইটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েই স্পষ্ট করে বলেছে যে এই পুরো বিষয়টা ‘একটা বিশ্বাসের সংকট’ বা ‘largely a trust issue’। আদালত আধার কার্ডের মতো সাধারণ নথি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে আর বাদ পড়া ভোটারদের তালিকা প্রকাশ করতে বলেছে, যা প্রমাণ করে যে কমিশনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া যথেষ্ট স্বচ্ছ বা সহজলভ্য ছিল না। এক পদ্ধতিগত গন্ডগোল নাকি এক্কেবারে পরিকল্পিত চক্রান্ত? বিভিন্ন তথ্যের প্রতিটা অদ্ভুত ডেটা পয়েন্ট— অস্বাভাবিক মৃত্যুহার, রহস্যময় ‘অনুপস্থিত’ ভোটার, এবং নারী ও সংখ্যালঘু ভোটারদের উপর ব্যাপক প্রভাব— একটা একক উপসংহারের দিকেই ইঙ্গিত করে। যা বলে দেয় এই নাম কাটার পদ্ধতিগুলো কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটা পরিকল্পিত চক্রান্ত যা অবশ্যই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যখন কোনও সমাজে নাগরিকরা রাষ্ট্রীয় প্রক্রিয়ার উপরে আস্থাহীন হয়ে পড়ে, তখন গণতন্ত্রের ‘slow-motion social death’ বা ধীর সামাজিক মৃত্যু ঘটে। এবং সেটাই হল আদত চক্রান্ত, খুব ধীর গতিতে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। আমরা ষড়যন্ত্রকে, গণতন্ত্রের সেই স্বাভাবিক হত্যার চেষ্টাকে রুখব, হ্যাঁ মানুষের এটাই মেজাজ যা বিহার থেকে শুরু হয়েছে, দিল্লিতে গিয়ে থামবে, আর সেইখানেই একটা স্লোগান শুনছি আমরা, ভোট চোর গদ্দি ছোড়।

Read More

Latest News