Tuesday, September 16, 2025
বাঙালি কাউন্টডাউন
Homeবিনোদনসইফ পরিবারের ১৫ হাজার কোটির সম্পত্তির ভাগ্য কি হবে!

সইফ পরিবারের ১৫ হাজার কোটির সম্পত্তির ভাগ্য কি হবে!

৯৬৮ সালের ‘শত্রু সম্পত্তি'(‘enemy property’ case) আইনে কেন্দ্রের তরফে পতৌদি পরিবারের(Pataudi Family) সম্পত্তি অধিগ্রহণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে চাইলেই সেই সরকারি আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারেন শর্মিলা ঠাকুর(Sharmila Tagore)। তাই পতৌদিদের ভোপালের পারিবারিক সম্পত্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
ভোপালের প্রাক্তন শাসকদের মালিকানাধীন এবং অভিনেতা সাইফ আলি খান ও তার পরিবারের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির ভাগ্য এখন অনিশ্চিত।
সহজেই বলা যায় যে সইফ পরিবারের ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির ভাগ্য এখন সম্পূর্ণ ঝুলে আছে। কে পাবে এর মালিকানা! অবশ্য জানা যাচ্ছে কেন্দ্রের সম্পত্তি অধিগ্রহণের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তার বিরুদ্ধে চাইলেই আবেদন করতে পারেন সইফ আলি খানের মা অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর।যদি এই নির্দেশের বিরুদ্ধে কোর্টে আপিল না করা হয় তবে সম্পত্তিগুলি কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।

সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউস, যেখানে সাইফ তার শৈশব কাটিয়েছেন, বিলাসবহুল হোটেল নূর-উস-সাবাহ প্যালেস, দার-উস-সালাম, হাবিবির বাংলো, আহমেদাবাদ প্যালেস এবং কোহেফিজা সম্পত্তি।আদালত ২০১৫ সাল থেকে খানের চ্যালেঞ্জের শুনানি করে আসছিল। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর, সরকার আদালতকে অবহিত করার পরে যে “শত্রুর সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের বিচারের জন্য একটি আপিল কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে”, বিচারপতি বিবেক আগরওয়াল বলেছিলেন যে পক্ষগুলি একটি মামলা করতে পারে।

সইফ আলি খানের মা তথা প্রখ্যাত অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর এবং পরিবারের অন্যান্যরা ২০১৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের ‘শত্রু সম্পত্তি রক্ষক’-এর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। যেহেতু ভোপাল নবাবের সম্পত্তিকে ‘শত্রু সম্পত্তি’ বলে অভিহিত করা হয়েছিল।
১৯৬৮ সালের শত্রু সম্পত্তি আইন অনুযায়ী, দেশভাগের পরে যারা পাকিস্তান চলে গেছেন, তাদের সম্পত্তি নিয়ে নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।ইতিহাস অনুযায়ী, ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের তিন মেয়ে ছিলেন। বড় মেয়ে আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। মেজো মেয়ে সাজিদা সুলতান সাজিদা সুলতান থেকে গিয়েছিলেন ভারতেই। বিয়ে করেছিলেন নবাব ইফতিকার আলি খান পতৌদিকে। হয়ে উঠেছিলেন আইনি উত্তরাধিকারী।

Read More

Latest News