ওয়েব ডেস্ক: আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) ফাইনালের আগে টস নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছে। দুবাইয়ের মন্থর এবং স্পিন সহায়ক পিচে টস জিতে ব্যাট করতে হবে, পরে ব্যাট করে রান তাড়া করা কঠিন হবে, এমন নানা রকম তত্ত্ব শোনা গিয়েছে। ভারত এই মাঠে আগে ব্যাট করেও জিতেছে, পরে ব্যাট করেও। তবু ফাইনালে টসে জেতার গুরুত্বের কথা শোনা গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারের (Mitchell Santner) গলাতেও।
এদিন টসে জেতেন তিনিই এবং ব্যাটিং নেন। তা সত্ত্বেও কিউয়ি ইনিংসের শেষে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) ভারতই ট্রফি জয়ের ব্যাপারে ফেভারিট। কারণ ভারতকে তাড়া করতে হবে ২৫২। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই মাঠেই ২৬৫ করে জিতেছিলেন বিরাট কোহলিরা (Virat Kohli)। ফাইনালে অঘটন ছাড়া নিউজিল্যান্ডের জেতা সম্ভব না। সে যতই অস্ট্রেলিয়ার থেকে নিউজিল্যান্ডের বোলিং আক্রমণের অভিজ্ঞতা বেশি থাক।
আরও পড়ুন: মরুঝড়ের ধুলোয় উড়বে কিউয়িরা, আবেগে ভাসছে দেশ
ভারতকে ম্যাচের মাঝপথেই অনেকটা এগিয়ে দেওয়ার কাণ্ডারি স্পিনাররা। হার্দিক পান্ডিয়ার এক ওভারে ১৬ রান নিয়ে ঝোড়ো শুরু করেন রাচিন রবীন্দ্র (Rachin Ravindra)। এরপর মহম্মদ শামির ওভারেও বাউন্ডারি মারেন। দেরি না করে বরুণ চক্রবর্তী এবং কুলদীপ যাদবকে আক্রমণে আনেন রোহিত। উইল ইয়ংকে ফেরান বরুণ (Varun Chakravarty) এবং রবীন্দ্রকে বোল্ড করেন কুলদীপ (Kuldeep Yadav)। কেন উইলিয়ামসনকেও ফেরান কুলদীপ।
এরপর একে একে রবীন্দ্র জাদেজা এবং অক্ষর প্যাটেল বোলিংয়ে আসেন। চার স্পিনারের জালে দমবন্ধ হয়ে যায় কিউয়ি ব্যাটারদের। একের পর এক ডট বল দিতে থাকেন তাঁরা। তার মধ্যে উইকেটও পড়তে থাকে। শেষ দিকে মাইকেল ব্রেসওয়েলের ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি রানটাকে ২৫০-র কাছে নিয়ে এল। এদিন ভারতীয় ফিল্ডাররা চারটি ক্যাচ ছেড়েছেন না হলে হয়তো আরও কম রান তাড়া করতে হত ভারতকে। ২৫ বছর আগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভারতকে হারিয়েছিল কিউয়িরা, আজ তার বদলা নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ।
দেখুন অন্য খবর:







