ওয়েব ডেস্ক: ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। পুজোর সময় সকলেরই প্ল্যান থাকে বাড়িতে বিভিন্ন খাবার ট্রাই করার। কিন্তু তার জো নেই। বাজারে যেতেই যে ভয় করছে সাধারণ মানুষের। আনাজ তো বটেই, তবে শাক সবজিতে হাত দিলেও ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে। লঙ্কা, পটল, ঝিঙে, ঢেঁড়শের দাম শুনলে চক্ষু চড়কগাছ ক্রেতাদের।
একদিকে ছুঁয়েছে চালের দাম। সাধারণের নাগালের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে সেই দাম। অন্যদিকে, বাজারে সবজির দামও চড়া। যদিও, এরইমধ্যে কিছুটা ভরসা জোগাচ্ছে আলু-পেঁয়াজের দর। রাজ্যে যথেষ্ট মজুত থাকায় এগুলির দাম নাগালে রয়েছে। যদিও, দর নিয়ন্ত্রনে রাজ্যের তৈরি টাস্ক ফোর্স নিয়মিত বাজারে হানা দিচ্ছে। তারপরও নাগালে আসছে না সবজির দাম। মূলত, আনাজের আকালেই দাম চড়ছে বলে জানাচ্ছেন ব্যাবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: আলু নয়, এই সবজিতেই স্বাদ বাড়বে পোস্তর
বর্ষায় আনাজের দাম বাড়ে। কিন্তু এবার টানা বর্ষায় জমিতে জল জমে নষ্ঠ হয়ে গিয়েছে ফসল। কৃষকরা মাঠের আনাজ তুলতে পারেননি। ফলে সরবরাহ ব্যপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এর ফলেই পাইকারি ও খুচরো বাজারে দাম ক্রমশ বাড়ছে। কবকাতার বড় বাজারগুলিতে কয়েক সপ্তাহ আগেও ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে যে সব আনাজ মিলত এখন তা ১০০ থেকে ১২০ টাকা। বেগুন, কাঁচালঙ্কা কেজিপ্রতি দাম দেড়শো টাকা ছাড়িয়েছে। পটল-ঢেঁড়শ-ঝিঙে, সবই এখন ৮০-১০০ টাকা কেজি। যদিও, রাজ্য সরকারের তরফে সাধারন মানুষকে কিছুটা রেহাই দিতে সুফল বাংলায় আউটলেটে ন্যায্য়মূল্যে আনাজ বিক্রি করছে। তবে, পটল-ঢেঁড়শ-ঝিঙের দাম সেখানেও ৬৫ টাকা কেজি।
দেখুন খবর: