ওয়েবডেস্ক– বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (Private Educational Institutions) শিক্ষকদের (Teacher) নিয়মিতভাবে আর্থিক শোষণ (Financial Exploitation) চলছে। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির (Justice) কাছে নাগরিক অভিযোগ। সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শিক্ষকদের আর্থিক শোষণ তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাকে তলানিতে নিয়ে গিয়েছে। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চিঠি দিয়ে প্রধান বিচারপতিকে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করার অনুরোধ রানা প্রতাপ সিং এর।
সমাজে একটা সময় বাবা-মায়ের পরেই শিক্ষকদের সম্মানীয় স্থান ছিল। কিন্তু তাঁদের অবস্থান এখন অনেক নিচে নেমে গিয়েছে। তাঁরা হতাশাগ্রস্ত, নীরব এবং প্রায় অদৃশ্য। তাই ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের প্রতি উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শনের স্বার্থেই এই পরিস্থিতিতে আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
বিষয়টি চাকরি পাওয়া বা বেকারত্বের চেয়েও বেশি। এর সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ জড়িত। কারণ শিক্ষকের সম্মান রক্ষিত না হলে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বেসরকারি এসব স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি, এআইসিটিই এবং সিবিএসই দ্বারা তৈরি বেতন প্রদান ও অন্যান্য চাকরিগত নিয়ম, শর্ত রীতিমতো লঙ্ঘন করে চলেছে।
আরও পড়ুন- মোদির মাকে অপমান! এবার সেটিকেই হাতিয়ার করছে বিজেপি
ন্যূনতম বেতন, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি এমনকি স্বাস্থ্য বীমার নীতিও তাঁদের ক্ষেত্রে লঙ্ঘিত হচ্ছে। ফলে বহু শিক্ষক আর্থিক সংকটে দিনাতিপাত করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এইসব প্রতিষ্ঠানে আইন অনুযায়ী যথাযথ পরিচালন কর্তৃপক্ষ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই থাকে না। যদি থাকেও, সেটি রাবার স্ট্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সিদ্ধান্তে শিক্ষক বা অভিভাবকদের মতামতকে এরা কোন মূল্যই দেয় না। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ থাকে যে বেসরকারি ট্রাস্ট বা সোসাইটি ওই প্রতিষ্ঠান চালায়, তাদের হাতে।
দেখুন আরও খবর-