ওয়েব ডেস্ক : পাঁশকুড়া (Panskura) ধর্ষণ কাণ্ডে (Rape Case) সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। গর্ভধারণ করতে গেলেও নিতে হত জাহিরের অনুমতি! আরও বেশ কিছু ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এসেছে। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তের গ্রেফতারির পরে হাসপাতালে ফিরতে চাইছেন ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা। পাশাপাশি, পাশকুড়া কাণ্ডে ইতিমধ্যেই শো-কজ করা হয়েছে রিলায়েবল নামক প্রাইভেট সংস্থাটিকে।
পাঁশকুড়া (Panskura) ধর্ষণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে মূল অভিযুক্ত জাহির আব্বাসের প্রভাবের কথা। এক কথায় হাসপাতালের অলিখিত সুপার হয়ে বসেছিলেন জাহির। রিলায়েবল নামক বেসরকারি সংস্থাটির হয়ে ফেসিলিটি ম্যানেজার পদে আসিন ছিল সে।
আরও খবর : বহু প্রাচীন এই মা মনসার পুজোর অলৌকিক কাহিনী শুনলে চমকে উঠবেন!
সূত্রের খবর, হাসপাতালের ১৩৩ জন অস্থায়ী কর্মীর “বস” ছিলেন জাহির। তার ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকত হাসপাতালের কর্মীরা। কাজ পছন্দ না হলেই শারীরিক মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি হুমকি দেওয়া হত ছেঁটে ফেলার। অভিযোগ, এরকম ভাবেই ১০ জন কর্মীকে ছেঁটে ফেলেছিলেন জাহির।
বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সভা থেকে সেই দশ জন ছাঁটাই হওয়া কর্মীর কথাও তুলেছিলেন। জানা গিয়েছে, টুম্পা হাসদা পাঁশকুড়া (Panskura) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জন্মলগ্ন থেকেই ওই হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ, অসুস্থ হয়ে ছুটি নেওয়ার অপরাধে তার লিভ অ্যাপ্লিকেশন ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল জাহির। এমনকি কর্মীরা গর্ভধারণ করলেও নাকি তার পারমিশন নিতে হত। তবে এখন জাহিরের জেল যাত্রার পর কাজে ফিরতে চাইছেন ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা। এর কারণে স্বস্তির হাওয়া হাসপাতালেও।
দেখুন অন্য খবর :